নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ সদর উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রাম হতে চোলাই মদসহ আটককৃত মোঃ নুর ইসলাম (৪০) নামের এক যুবকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
গত শনিবার তাকে চোলাইমদসহ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন থানার এসআই মাহফুজুর রহমান মাহফুজ। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুর ইসলাম। তবে নিহতের পরিবার দাবি করেন পুলিশের শারীরিক নির্যাতন করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা বলেন, পুলিশ রাস্তায় আটক করার পড় বাড়িতে নিয়ে আসেন ও বলেন টাকা দিলে ছেড়ে দেব, নিহতের বাবা-মা ৩০ হাজার সাথে সাথে ব্যবস্থা করে দেন, তখন তাদেরকে বলেন, নরমাল মামলা দেব, আপনারা কোর্টে গিয়ে জামিন করে নিতে পারবেন। আরোও বলেন টাকা নিয়ে মামলা নরমাল করে দেননি বরং মারপিট করেছে পুলিশ। আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছে। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকাল ৯ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, থানার হাপানিয়া ইউনিয়নের নারচী গ্রামের জনৈক মোস্তফার ইট ভাটার মোড়ে পাকা রাস্তার উপর ১ ব্যক্তি দেশীয় তৈরি চোলাইমদ বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। সেখানে থানার এসআই মাহফুজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নুর ইসলাম হাতে একটি জারকিনসহ পালানোর চেষ্টা করে। তাকে পালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারে না। তাহার কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় সেখানে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে তার হাতে থাকা একটি সাদা প্লাস্টিকের ১০ লিটার জারকিনে দেশীয় তৈরি চোলাইমদ উদ্ধার করা হয়। তাকে দেশীয় তৈরি চোলাইমদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, বিভিন্ন স্থান হতে সংগ্রহ করে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিনব কায়দায় বিক্রয় করে আসতেছিল বলে স্বীকার করায় তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এবিষয়ে এস আই মাহফুজুর রহমান মাহফুজ বলেন, আমি কোন নির্যাতনের করিনি, ৩০ হাজর টাকা নেওয়ার বিষয় ও অস্বীকার করে বলেন, টাকা তারা ৫০হাজার ১লক্ষ টাকা আমাকে দিতে চাইছে আমি গ্রহণ করিনাই। তাকে আমরা অক্ষত অবস্থায় আদালতে প্রেরণ করেছি। সে চার দিন থাকার পর আজ মারা যায়। সে কিভাবে মারা গেছে সেটা আমার জানা নেই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা কারাগারের জেল সুপার ফারুক আহম্মেদ বলেন, সে মাদকসেবী হিসাবে আমরা জেনেছি। মাদকসেবীরা সাধারণত এ্যাপনরমাল হয়ে থাকে, এজন্য আমরা তাকে সেরকম কোন চেক আপ করিনাই। কারাগারে থাকা অবস্থায় একবার উদ্ধৃতপূর্ণ আচরণ করে দৌর দেয় আমরা তখন তার হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে রাখা হয়। তার শরীরের অন্যান্য আঘাত সম্পর্কে কিছু বলতে পারবো না। সেটা কারাগারে আসার আগের হবে। তার শারিরীক অবস্থা ভাল না থাকায় কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গতকাল শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।
Leave a Reply