ফেনী প্রতিনিধিঃ ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্বা নুরুল ইসলাম (৭০)এর উপর হামলার অভিযোগে পরশুরাম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করে গত ৬ জুলাই আদালতে প্রেরণ করেছেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
বীর মুক্তিযোদ্বা নুরুল ইসলাম হালিমা আক্তার, নুরুল হককে আসামী করে তাঁর উপর হামলা করে পিটিয়ে রক্তার জখম করার অভিযোগে ৪৪৭,৩০৭,৩২৪ ধারা মামলা দায়ের করেছেন।
এজহার সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বীর মুক্তিযোদ্বা নুরুল ইসলাম’র সাথে নুরুল হকদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। বীর মুক্তিযোদ্বা নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন তাঁর প্রতিবেশী হালিমা ও তার স্বামী নুরুল হকসহ তার সহযোগীরা পানি যাতায়াতের ড্রেন বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে এবং টিনের বেড়া দেয়।
ঘটনার দিন বীর মুক্তিযোদ্বা নুরুল ইসলাম বাড়ীর পানি আটকে যাওয়ায় ড্রেন পরিস্কার করতে গেলে হালিমা আক্তার, নুরুল হক, ও জসিমসহ তাদের সহযোগীরা অতর্কিত ভাবে নুরুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরতর আহত করেছেন।
মুক্তিযোদ্বা নুরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীরা তাকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সে নিজেকে বাচানোর চেষ্টা করেন এসময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর হাত কেটে যায়। চিকিৎকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলে তার বাড়ীতে কেউ না থাকায় বর্তমানে বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মুক্তিযোদ্বা নুরুল ইসলাম আরো বলেন, বর্তমানে তিনি নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছেন।
মুক্তিযোদ্বা নুরুল ইসলাম তাঁর এজহারে উল্লেখ্ করে বলেন, আসামীগণের ভূমির উপর আমার কোন লোভ-লালসা ও পাওনা নাই। কিন্তু তাঁরা আমার বাড়ীর পানি যাওয়ার ড্রেন বন্ধ করে দেয়। এই ড্রেনের মাধ্যমে ৭২ পরিবারের পানি চলাচল তার বন্ধ করে দিয়েছে। তারা অসৎ উদ্দেশ্যে পানি যাওয়ার ড্রেন ময়লা আবর্জনা, মাটি দ্বারা ভরাট করে রাখে। পানি চলাচলের বাধার কারণে জলাবদ্ধতায় জনগনের চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়ে এ ব্যাপারে নুরুল ইসলামসহ ভুক্তভোগীরা ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিলে জেলা প্রশাসক এর নির্দেশনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিনে তদন্ত করে উক্ত ভূমি থেকে ২/৩ বার উচ্ছেদ করে দেন।
অপরদিকে অভিযুক্ত নুরুল হক ও হালিমা আক্তার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারি হয়েছে। তাদের পক্ষে থেকেও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্বাকে মারধরের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply