


মোঃ মুক্তার হোসেন রিপোর্টারঃ- ব্যাংকিং জগতে অন্যান্য ব্যাংকের ন্যায় সকল সুবিধা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত প্রবাসী মালিকানাধীন ব্যাংক “এনআরবিসি বা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড”র বেনাপোল এজেন্ট শাখার শুভ উদ্বোধণ ঘোষণা করা হয়। এসময় গ্রাহক মাঝে “এনআরবিসি” ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত কল্পে “গ্রামীণ ফোন কাস্টমার কেয়ার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং “এনআরবিসি”র বেনাপোল এজেন্ট শাখার মালিক পক্ষ মোঃ জিল্লুর রহমান ডাবলু’র সাথে “এনআরবিসি”র কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি চুক্তিনামা হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার(৯ মে/২০২৩) ইং তারিখ বিকাল ৩টার দিকে বেনাপোল বাজারস্থ বেনাপোল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মার্কেটে অবস্থিত “গ্রামীণ ফোন কাস্টমার কেয়ার কার্যালয়” এ আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ব্যাংক এজেন্ট শাখার শুভ উদ্বোধণ অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধণ ঘোষনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-“এনআরবিসি” ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার এন্ড হেড অব ব্রাঞ্চ কর্মকর্তা-মোঃ ফিরোজ আলম। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি বর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গ্রামীণ ফোন এর স্থানীয় এবং উপজেলা/জেলার কর্মকর্তাবৃন্দ ও গ্রাহক-মোঃ সাইফুল ইসলাম,সাগর,শাওন ও আলমগীর সহ ঐ মার্কেটের ব্যবসায়ীবৃন্দ।
এজেন্ট শাখা উদ্বোধণে গ্রাহক সুবিধা এবং এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে “এনআরবিসি”র কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
উল্লেখ্য,এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড বা এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। অভিবাসী বাংলাদেশীরা ১৯৯০ সাল থেকে এ ধরনের ব্যাংকের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বাংলাদেশের একজন অর্থনীতিবিদ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা মোঃ বায়োজিদ সরকার প্রথমে ব্যাংকের একটি তাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি করেন, যা “একটি বৈদেশিক রেমিট্যান্স পদ্ধতি” শীর্ষক গবেষণা পত্রে এই ধারণাটি প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১১ সালে এনআরবি ব্যাংকের আবেদন আহ্বান করে এবং অবশেষে ২০১৩ সালে তিনটি এনআরবি ব্যাংক ( অনাবাসী বাংলাদেশী ব্যাংক) লাইসেন্স প্রদান করে। এনআরবি ব্যাঙ্কগুলি হলো- এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড , এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড। একটি নিয়মিত ব্যাঙ্ক এবং একটি “এনআরবি” ব্যাঙ্কের অপারেশনগুলির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই বলে “এনআরবিসি”কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।