


মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় চর ক্লার্ক ইউনিয়নের জনতা বাজারে গতকাল রাত আনুমানিক ১ টার সময়
নিজাম উদ্দিন মিকারের মোবাইল ও ইলেকট্রনিক দোকান এবং নিজাম ট্রেইলারের দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এতে নিজাম উদ্দিন মিকারের প্রায় ৭ লক্ষ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পুড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুমানিক রাত ১টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে।
বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে আগুন লেগে দোকানের ভেতরে পুড়ে যখন উপরের দিকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়, তখন রাস্তায় চলাচলকারী পদচারীদের নজরে আগুনের বিষয়টি দৃশ্যমান হয়।
উপস্থিত জনতার চিৎকারে আশপাশের লোকজন একত্রিত হয়ে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করতে থাকে। পরে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের দমকল বাহিনির সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু তারপুর্বেই দুটি দোকান পুড়ে যায়।পথে বসে যায় দোকানিরা।
ক্ষতিগ্রস্ত নিজাম উদ্দিন মিকার ও নিজাম ট্রেইলার জানান, তারা উভয় তরাবি নামাজ শেষ হওয়ার পর প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। রাতে ফোনে খবর পেয়ে দ্রুত এসে দেখে তাদের দোকানের সকল জিনিসপত্র পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। নিজাম উদ্দিন মিকার ২০০৫ সাল থেকে এই বাজারে মোবাইল, টেলিভিশন, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যবসা করে আসছে।
এখন সব কিছু হারিয়ে দিশেহারা পরিবার গুলা।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে, ৩নং চরক্লার্ক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল বাসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে উভয় পক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিকার গুলাকে আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেছি।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হন।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স সুবর্ণচর উপজেলা অফিস সূত্রে থেকে জানাযায়, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে বলে নিশ্চিত করেন গণমাধ্যম কর্মীদের। এতে প্রায় ১ লক্ষ টাকার মালামাল উদ্ধার করেছে দমকলবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের দাবী। কিন্তুু ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি ও স্থানীয় জনগণ এবং চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী আগুনে পুড়ে যাওয়া মালামালের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার অধিক হবে বলে জানান গণমাধ্যম কর্মীদের অনেকে।