


এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঘুরে বেড়ানো তার শখ। এক প্রকার নেশা বলা যায়। এই নেশায় তার ভালো লাগে অজানাকে জানা, অদেখাকে দেখা। পাহাড়, মরুভূমি, সমুদ্র, গভীর জঙ্গল, বরফে ঢাকা জনপদ, সব সুন্দর-প্রকৃতিই তাকে ডাকে। সুরভীর দেখা হয়ে গেছে আমেরিকার কয়েকটি অঙ্গরাজ্য,ফ্রান্স,ইতালি, ন্যাদারল্যান্ড,লন্ডন, দুবাই। যেখানেই যান, লাল সবুজের পতাকা তার সঙ্গেই থাকে। তার ইচ্ছে পৃথিবীকে চেনা ও জানা। বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকেও।
এই তরুণীর নাম এস.কে. সুরভী। বাড়ি কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত আরফান মঞ্জিল কটেজে।
সম্প্রতি এই প্রতিবেদককে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ও মেইল টেক্সের মাধ্যমে ও আড্ডায় কথা হচ্ছিল ভ্রমণপিপাসু সুরভীর সঙ্গে। তিনি বলছিলেন বিশ্বভ্রমণ অভিযানের অভিজ্ঞতা, শখ, স্বপ্ন ও ভালোলাগার নানা বিষয়।
২০২১ ও ২০২২ এ দুই বছরে সুরভী ঘুরেছেন ৬টি দেশ। ২০২৩ সালে ফের এ যাত্রায় সবমিলিয়ে তার ভ্রমণের ডায়েরিতে যুক্ত হবে আরোও কয়েকটি দেশ। তবে এখন তিনি দেশ গুলার নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না।
সুরভী জানান, ২০২৫ সালের বিতরে ১০০টি দেশ ভ্রমণের সফলতা অর্জন করে গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে অভিজ্ঞা জানাবো দেশবাসীর নিকট।
এরমধ্যে বেশির ভাগ দেশই পরিবার কে নিয়ে ঘুরেছেন।। অবশ্য এই বিশ্বভ্রমণে নানা প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা পেরোতে হয়েছে তাকে। আহত,অসুস্থতারও মুখোমুখি হয়েছেন কয়েকবার। তবু বিশ্বজয়ের স্বপ্ন তার। সুরভীর মতে, ‘ইচ্ছে থাকলে ভয়কে জয় করা সম্ভব’। আর পরিবার থেকে সেই সাপোর্ট পাচ্ছি।
তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের মেয়েরা এখন পিছিয়ে নেই। তারাও এখন ভয়কে জয় করা শিখেছে। সুরভী জানান, খুব শিগগির ১০০ দেশ ভ্রমণের ঈর্ষণীয় মাইলফলক ছোঁবেন। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে সুরভীর অভিজ্ঞা থেকে বলেছেন, ‘মানুষের জীবনকাল খুব অল্প সময়ের। বিধাতার দয়াতে পৃথিবীতে আসা। যে পৃথিবীতে জন্মেছি, সেই পৃথিবীটা কেমন, সেই পৃথিবী সম্পর্কে জানতে অদম্য ইচ্ছে জাগে। সেই ইচ্ছে ও আগ্রহ থেকে পৃথিবীর ৬টি দেশ ঘুরেছি। স্বপ্ন দেখি, গোটা বিশ্ব দেখার। আগ্রহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভুগোল, ইতিহাস, প্রকৃতি, মানুষ ও সংস্কৃতি, সম্পর্কে জানার এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতিও বিশ্ববাসীকে জানানোর। ’
২০০৪ সালের ২০ এ সেপ্টেম্বর এ বসুরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে সুরভীর জন্ম। তার বাবা আরফান মির্জা দেশের সুনামধন্য একজন প্রতিষ্ঠিত প্রবাসী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত মুখ। তার মা মোসা: মার্জিয়া আক্তার (লিপি) একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। দুই ভাই বোনের মধ্যে সুরভী সবার আদরের রাজকন্যাও বটে। বড় ভাই তামিম মির্জা বিদেশে পড়াশোনা শেষ করেন। তিনি বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নাক,কান,গলা ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও সুইজারল্যান্ডে রয়েছে তার নিজস্ব ফার্মেসি।