শনিবার, এপ্রিল ১, ২০২৩
spot_img
বাড়িবিশেষ সংবাদদুমকিতে মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও শত শত সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে, ওয়ার্ড ইনচার্জকে...

দুমকিতে মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও শত শত সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে, ওয়ার্ড ইনচার্জকে শোকজ!

দুমকি (পটুয়াখালী) সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও শত শত খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড ইনচার্জের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৩ মে) দুপুরের এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত মেয়াদ আছে এমন শত শত সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে পড়ে আছে। এসব স্যালাইন না দিয়ে সাধারণ রোগীদের বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের। সরকারি বিনামুল্যের বিপুল সংখ্যক স্যালাইন ডাস্টবিনে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় উৎসুক জনতা সেখানে ভীড় করছেন।

ডাস্টবিন থেকে স্যালাইন নিয়ে ফিরছিলেন তাদের একজন সকিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গতকাল দুপুরে হাসপাতালে সামনে দাড়িয়ে ছিলাম। এসময় নার্সিং ইনচার্জ আয়শা মারজানকে একটি বড় ব্যাগে করে এসব স্যালাইন নিয়ে যেতে দেখি। এছাড়াও আরও  মানুষজনও তাকে স্যালাইন নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখে ফেললে তিনি স্যালাইনগুলো পার্শ্ববর্তী ডাষ্টবিলে ফেলে দিয়ে দ্রুত সরে পড়েন।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের সাথে জড়িত কিছু ঔষধ ব্যবসায়ী ও দালাল চক্রের কাছ থেকে সাধারণ রোগীরা ঔষধ ও স্যালাইন কিনে নিয়ে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এছাড়াও হাসপাতালের একাধিক সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরকারি ওষুধ বা স্যালাইন সরবরাহ থাকলেও আগত রোগীদের সরবরাহ নেই বলে বাইরের ফার্মেসি থেকে ইনডোর ও আউটডোর রোগীদের কিনে আনতে বাধ্য করা হয়।

সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের স্টোর ইনচার্জ রুহুল আমীন  বলেন, আমার এখান থেকে ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজান ওরাল স্যালাইন তার ওয়ার্ডে নিয়ে গেছেন। তিনি তারপর কি করেছেন তা তো আমি জানি না।

ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজান বলেন, আমি জ্ঞাতসারে কোথাও ওআরএস ফেলিনি। আপনারা পেয়েছেন। এটা কোন কারনে হতে পারে। হয়ত অসাবধানতা বসত কোন ক্লীনার বা কেউ ফেলেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমি শোকজের চিঠি পেয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ মীর শহিদুল ইসলাম বলেন, কেন সরকারি ওরাল স্যালাইন ময়লার ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে তার কারন জানতে চেয়ে আয়শা মারজানকে শোকজ করা হয়েছে।

প্রিয় পাঠক, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, cbnnews04@gmail.com ঠিকানায়। অথবা যুক্ত হতে পারেন chinabanglanews আমাদের ফেসবুক পেজে। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

এই বিভাগের আরও খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আমাদের লাইক পেজ

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় পোস্ট