বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
spot_img
বাড়ি প্রচ্ছদ

নওগাঁ জেলা শিক্ষক সমিতির নতুন সভাপতি মহাতাফ হোসেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলা শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে আগের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নওগাঁ সেন্টাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মহাতাফ হোসেন ও দ্বিতীয়বারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রাণীনগর উপজেলার মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল গফুর প্রাং।

জানা যায়, শনিবার জেলার ১১টি উপজেলার নির্ধারিত কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে আনন্দ ঘন ও উৎসব মুখর পরিবেশে নওগাঁ সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলে এই কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাউন্সিল অধিবেশন পরিচালিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী বদলগাছি উপজেলার বালুভরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব। কাউন্সিলে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

জানতে চাইলে শিক্ষক মো. আব্দুল গফুর প্রামাণিক বলেন, আমাকে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত করায় আমি জেলার সকল শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আশাবাদী আগামীতে মানসম্মত শিক্ষার মান আরো প্রসারিত করতে এবং শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবী আদায়ে নতুন গঠিত জেলা শিক্ষক সমিতি দৃঢ় ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট থাকবো।

জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মহাতাফ হোসেন বলেন, আমাকে ঐতিহ্যবাহী এ জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত করায় জেলার সর্বোস্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানায়। সেই সাথে সকলের কাছে দোয়া চাই আমি যেন আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি।

জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচন নোয়াখালী প্রেসক্লাবঃ সভাপতি বখতিয়ার, সম্পাদক নাসের

রাহু দশা থেকে মুক্ত হলো বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী নোয়াখালী প্রেসক্লাব। একের পর এক মামলা,কন্দোল,ক্ষমতার লোভ, প্রতিহিংসার অবসান ঘটলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যামে নোয়াখালীর গণমাধ্যম অঙ্গনে।

অনেক জল্পনা কল্পনার শেষে নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে।

এতে সভাপতি পদে বখতিয়ার শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবু নাসের মঞ্জু নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রায় ৬ বছর ষড়যন্ত্র, মামলাবাজ একটি মহলের হাত থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত নোয়াখালী জেলা প্রশাসন স্কুলের হলরুমে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুব রহমানের নিয়ন্ত্রণে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে প্রশাসনিক নিরাপত্তা মধ্যদিয়ে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতি পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বখতিয়ার শিকদার ৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর ইউসুফ ১৪ ভোট পেয়ে ২১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে আবু নাছের মঞ্জু ২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামসুল হাসান মীরন ১৭ ভোট পেয়ে ১১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।

কোষাধ্যক্ষ পদে আলাউদ্দিন শিবলু ২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুমন ভৌমিক ১৭ ভোট পেয়ে ৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেন।

এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে ২ জন মাসুদ পারভেজ (এনটিভি) ৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। প্রবীণ সাংবাদিক ও সম্পাদক শাহ এমরান সুজন (দৈনিক সোনালী জমিন) ৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হলেন দুই জন।

এ আর আজাদ সোহেল (দৈনিক ভোরের আকাশ ও বাংলা পোর্টাল ) ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আকবর হোসেন সোহাগ ( বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ ২৪) ২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন। তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মোঃ সুমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। ক্রীড়া ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন প্রবীণ সাংবাদিক নাসির শাহ নয়ন। প্রচার সম্পাদক পদে দৈনিক গণমুক্তির গাজী রুবেল ৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে তিনজন নির্বাচিত হন। এরমধ্যে- দৈনিক এশিয়া বাণীর আব্দুল মোতালেব (৩০ ভোট)। নুর রহমান (২৩ ভোট) ও মাহাবুবুর রহমান (২৩ ভোট) পেয়ে নির্বাচিত। নির্বাচিত সকল নেতৃবৃন্দ নোয়াখালীর মিডিয়া অঙ্গনে সকলকে নিয়ে একসাথে কাজ করার অঙ্গিকার করেন।এছাড়াও জেলার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা,অপব্যবস্থাপনা,অপরাধসহ নানা বিষয়ে জেলাবাসীর পাশে থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন

সিনচিয়াংয়ে ৮০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা জীবিকা উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়; জনগণের সুখবোধ বাড়ছে

সেপ্টেম্বর ২০: বিগত দশ বছরে চীনের সিনচিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে গোটা চীনের বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরের সহায়তা প্রকল্প চালু হয়েছে। সিনচিয়াংয়ে সহায়তা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কৃষি ও পশুপালন শিল্প, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, জাতিগত হস্তশিল্প এবং গ্রামীণ পর্যটন শিল্পসহ স্থানীয় বৈশিষ্ট্যময় শিল্প লালন-পালন করা। এটি সিনচিয়াংয়ের শক্তিশালী অর্থনীতির উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়ন এগিয়ে নিয়েছে।
সিনচিয়াং কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত, বিগত দশ বছরে সিনচিয়াংয়ে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা অর্থের মোট পরিমাণ ১৭০ বিলিয়ন ইউয়ান। এর ৮০ শতাংশ স্থানীয় জেলা ও জেলার তৃণমূল পর্যায়ের জীবিকা উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়েছে। যা কার্যকরভাবে সিনচিয়াংয়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতের অবিরাম উন্নয়ন এগিয়ে নিয়েছে।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

সিনচিয়াংয়ের লবণ-ক্ষারযুক্ত জমিতে সিফুড জন্মাচ্ছে!

সেপ্টেম্বর ২০: সিনচিয়াং চীনের সবচেয়ে দূরবর্তী অঞ্চল। কিন্তু সেখানকার লবণ-ক্ষারযুক্ত জমিতে সিফুড উত্পাদন হচ্ছে। যা মানুষকে বিস্মিত করেছে।
সম্প্রতি সিনচিয়াংয়ের ‘শি শি সিফুড’ কোম্পানির প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান ছেন চিয়া চেন বলেন, কীভাবে লবণ-ক্ষারযুক্ত জমিতে সিফুড জন্মানো যায়, সে বিষয়ে সহকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেন তিনি। আর এই কোম্পানির ব্যবস্থাপক ছাই চু নান বলেন, ‘হংকংয়ে আমাদের বৃহত্তম সিফুড পাইকারি বিক্রেতা জানান, আমি কখনই ভাবিনি যে, পাইকারি সিফুডের জন্য একদিন আমরা সিনচিয়াংয়ে যাবো’।

এদিকে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু চীনা গবেষক আবিষ্কার করেন যে, লবণ-ক্ষারযুক্ত জমিতে উচ্চ মাত্রার লবণ থাকায় কিছু সিফুডের জন্য তা বেশ উপযুক্ত। তাই সিনচিয়াংয়ে অনেকেই লবণ-ক্ষারযুক্ত জমিতে সিফুড লালন-পালন কাজ করতে শুরু করেছে। ছেন চিয়া চেন হচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

সারা মন্দির (sera temple)

সারা মন্দিরের পুরো নাম ‘সারা মহায়ানা দ্বীপ’, যা লাসার উত্তর শহরতলী থেকে ৩০০০ মিটার দূরে সারা উজি পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত। তিব্বতি ভাষায় ‘সারা’ মানে ‘বন্য গোলাপ’। কথিত আছে, মন্দিরটি যখন নির্মিত হয়, তখন চারপাশে বুনো গোলাপ ফুটে উঠেছিল; তাই এর নাম দেওয়া হয় ‘সারা মঠ’। এই মন্দিরটির নির্মাণকাজ ১৪১৯ খ্রিস্টাব্দে শুরু এবং ১৪৩৪ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়। সারা মন্দির ১ লাখ ১০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে।
মন্দিরটিতর অনেক মূল্যবান সাংস্কৃতিক অবশেষ সংরক্ষিত আছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫০০ বছরের পুরানো শাক্যমুনি বুদ্ধের সিল্ক মূর্তি। যদিও সারা মন্দির ড্রেপুং মঠের মতো বড় নয়, তবে এটি নানান কারণে বিখ্যাত। ‘সূত্র বিতর্ক’-কে তিব্বতি ভাষায় ‘ছুননিচুওপা’ বলা হয়, যার অর্থ ‘ধর্ম’। এটি তিব্বতি বৌদ্ধ লামাদের জন্য সূত্র অধ্যয়নের একটি প্রয়োজনীয় উপায়। তাদের বেশিরভাগই খোলা জায়গায় বা মন্দিরে গাছের ছায়ায় সূত্র অধ্যয়ন করেন।
সারা মঠে একটি বিতর্ক বাগান রয়েছে। সাধারণত প্রতি বুধবার বিকেল ৩টার পরে, সন্ন্যাসীরা মন্দিরে জড়ো হন এবং ধর্ম বিষয়ে বিতর্ক তথা আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন। গোটা প্রক্রিয়াটি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। সারা মনাস্ট্রি থেকে খুব দূরে রহস্যময় স্কাই কবরের প্ল্যাটফর্ম। স্কাই কবরের প্ল্যাটফর্মের রাস্তার অবস্থা খারাপ, এবং এমনকি, আপনি যদি সেখানে পৌঁছাতে পারেনও, আপনাকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যারা সেখানে যেতে চানই, এ বিষয়টি মাথায় রেখে যাবেন।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

রাজকুমারী ওয়েনছেংয়ের প্রাসাদ—রামোচে মন্দির

রামোচে মন্দির জোখাং মন্দিরের প্রায় ৫০০ মিটার উত্তরে অবস্থিত। এটি ও জোখাং মন্দিরকে একসাথে ‘লাসার দুই মন্দির’ বলে ডাকা হয়। রামোচে মন্দির থাং রাজবংশ আমলের জোখাং মন্দিরের মতো একই সময়ে নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এটি প্রায় ৪০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত আছে।
রামোচে মন্দিরের স্থাপত্য বিন্যাস তুলনামূলকভাবে সহজ-সরল; সামনের ও পিছনের অংশে বিভক্ত। সামনের অংশটি হল উঠান এবং পিছনের অংশটি হল মন্দির। মন্দিরে গেট টাওয়ার, প্রার্থনা ক্লোস্টার, এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা আছে।
ঐতিহাসিক পট-পরিবর্তনের কালে, রামোচে মন্দিরটি বেশ কয়েকবার পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। বর্তমানে যেসব ভবন দেখা যায়, সেগুলোর অধিকাংশই পরবর্তী প্রজন্মের দ্বারা পুনর্নির্মিত হয়েছে। শুধুমাত্র মন্দিরের মূল অংশটি এখনও তার আসল চেহারা ধরে রেখেছে।
রামোচে মন্দিরের নিচ তলাটি তিনটি ভাগে বিভক্ত: গেট কোর্ট, সূত্র হল, এবং বৌদ্ধ হল। এর করিডোরে প্রচুর চমত্কার ম্যুরাল আছে। দ্বিতীয় তলার সামনের অংশটি সন্ন্যাসীদের আস্তানা এবং মাঝখানের অংশটি হল গ্রেট সূত্র হলের উঠানের পিছনে দুটি প্রধান হল। তৃতীয় তলার সামনে দালাই লামাদের জন্য ছয়টি বিশেষ বাসস্থান রয়েছে; পিছনে আছে গোল্ডেন রুফ হল। সূর্যালোকের সংস্পর্শে গোল্ডেন রুফ হলের উপরের তলায় স্থাপিত হান-স্টাইলের সোনার টাইলসগুলো চকচক করে। আগ্রহী পর্যটকরা মন্দিরের স্তম্ভে খোদাই করা পদ্ম, সিরাস, গয়না এবং ছয়-অক্ষরের মন্ত্রে তিব্বতি ঐতিহ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
এই মন্দিরে ছাংআন থেকে রাজকুমারী ওয়েনছেং কর্তৃক আনা শাক্যমুনির ১২ বছর বয়সী প্রমাণ সাইজের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। আর জোখাং মন্দিরে কাঠমাণ্ড থেকে আনা ৮ বছর বয়সী শাক্যমুনির প্রমাণ সাইজের মূর্তি স্থাপন করা হয়। এই মূর্তিটি এনেছিলেন নেপালের রাজকুমারী চিজুন।
সোংটসান গাম্পোর মৃত্যুর পর, রাজকুমারী ওয়েনছেং জোখাং মন্দির ও রামোচে মন্দিরে রাখা শাক্যমুনির মূর্তিগুলো বিনিময়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই এখন রামোচে মন্দিরে শাক্যমুনির ৮ বছর বয়সী মূর্তিটি সংরক্ষিত দেখা যায়। রামোচে মন্দিরে অনেক মূল্যবান সাংস্কৃতিক পূরাকীর্তি রয়েছে। এখানে আছে প্রায় ২ মিটার উঁচু ব্রোঞ্জের বোধিসত্ত্ব, প্রায় ১.৫৫ মিটার উঁচু পদ্মসম্ভবের ব্রোঞ্জ মূর্তি, এবং প্রায় ১.৩৩ মিটার উঁচু একটি মহিলার ব্রোঞ্জ মূর্তি। এগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

বছরের প্রথম আট মাসে তিব্বতের রাজস্ব আয় ও ব্যয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে

সেপ্টেম্বর ১৯: চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের প্রথম আট মাসে গোটা তিব্বতে সাধারণ গণবাজেট আয় হয়েছে ১৫.৩৩ বিলিয়ন ইউয়ান; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০.৩ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে শুল্ক আয়ের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০.৫ শতাংশ বেশি। এটি গোটা অঞ্চলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার মধ্যে ভালো দিকে যাওয়ার প্রতিফলন।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

উরুমুচিতে বড় আকারের মিষ্টিকুমড়া কার্নিভাল অনুষ্ঠিত

সেপ্টেম্বর ১৯: গত ১৬ সেপ্টেম্বর চীনের সিনচিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী উরুমুচি শহরের ‘শুইমোকৌ’ জেলার ‘শি রেন’ কৃষি খামারে প্রথম বড় আকারের পাম্পকিন বা মিষ্টিকুমড়া কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি স্থানীয় অনেক অধিবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
জানা গেছে, এবারের কার্নিভালে মিষ্টিকুমড়া কাঁচামাল হিসেবে কাঠঠোকরা, শামুক এবং কুমড়া পিরামিডসহ কয়েক দশকের বড় আকারের শিল্প-কর্ম সৃষ্টি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে, চীনের বিভিন্ন স্থানের ৩০টিরও বেশি রকমের কুমড়া এবারের কার্নিভালে প্রদর্শিত হয়েছে।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

‘পাঁচ শহর’-এর শিল্পকর্মের প্রদর্শনী উরুমুচিতে অনুষ্ঠিত

সেপ্টেম্বর ১৯: গত ১৬ সেপ্টেম্বর উরুমুচি, নাননিং, হুহ্যহাওথ্য, লাসা ও ইনছুয়ান- এই পাঁচটি শহরের শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের শতাধিক শিল্পকর্মের প্রদর্শনী উরুমুচির সাংস্কৃতিক ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, এবারের প্রদর্শনীর সূচক দিক হচ্ছে চীনের কুয়াং সি চুয়াং জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নাননিং শহর। উল্লেখিত পাঁচটি শহরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আন্তঃপ্রদেশ সাংস্কৃতিক বিনিময় তত্পরতা চালু হয়েছে। উরুমুচি হচ্ছে এবারের প্রদর্শনীর চতুর্থ স্টেশন। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনীটি চলবে। অধিবাসীরা বিনামূল্যে এটি উপভোগ করতে পারবেন।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

জি-২০ নয়াদিল্লী শীর্ষসম্মেলনে প্রকাশিত নেতৃবৃন্দ ঘোষণার মাধ্যমে চীনা প্রস্তাব প্রতিফলিত: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সেপ্টেম্বর ১১: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং আজ (সোমবার) বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এক নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে জি-২০ নয়াদিল্লী শীর্ষসম্মেলনের ফলাফল নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেছেন, এবারের সম্মেলনে প্রকাশিত নেতৃবৃন্দের ঘোষণার মাধ্যমে চীনের প্রস্তাব ফুটে উঠেছে।
মাও নিং বলেন, ‘চীনা প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং এবারের নয়াদিল্লী শীর্ষসম্মেলনে অংশ নিয়ে সার্বিকভাবে জি-২০ সহযোগিতায় চীনের প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রস্তাবে বিভিন্ন পক্ষকে ঐক্য ও সহযোগিতার চেতনা কাজে লাগিয়ে শান্তি ও উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা, বৈশ্বিক উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বিশ্বের অবিরাম উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, জি-২০’র কর্মকাণ্ডে গুরুত্ব দেয় চীন। এবারের নয়াদিল্লী শীর্ষসম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়ায় গঠনমূলক ভূমিকাও পালন করেছে চীন।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।