শুক্রবার, মার্চ ৩১, ২০২৩
spot_img
বাড়ি প্রচ্ছদ

তথাকথিত ‘গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলন’ মার্কিন কপটতাকে আরও মূর্ত করেছে: চীনা মুখপাত্র

মার্চ ৩১: গত ২৯ মার্চ থেকে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী তথাকথিত ‘গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলন’ গণতন্ত্রের প্রশ্নে মার্কিন কপটতা ও দ্বৈতনীতিকে আরও মূর্ত করেছে। এ সম্মেলন আসলে বিশ্বকে বিভক্ত করার একটি অপচেষ্টা মাত্র। আজ (শুক্রবার) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বেইজিংয়ে এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
মুখপাত্র বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজের মানদণ্ড অনুসারে বিশ্বের দেশগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ফেলার অপচেষ্টা করেছে, যা সেসব দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল। সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য, গণতান্ত্রের অজুহাতে, ‘ছোট বৃত্ত’ সৃষ্টি ও দেশে-দেশে বিভক্তি বাড়ানোর মাধ্যমে, নিজের আধিপত্যবাদ বজায় রাখা।
মাও নিং আরও বলেন, এহেন আচরণ প্রকৃত গণতন্ত্র ও জাতিসংঘ সনদের নীতি ও নিয়মের লঙ্ঘন। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থপরতা এবং আধিপত্যবাদী নীতি ও দ্বৈতচরিত্র নতুন করে ফুটে উঠেছে।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তুলে ধরা হলো বর্জ্য-ব্যবস্থাপনায় চীনের সাফল্য

মার্চ ৩১: জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের প্রতিনিধি রেন হুং ইয়ান গতকাল (বৃহস্পতিবার) সাধারণ পরিষদের এক সভায় বর্জ্য-ব্যবস্থাপনায় তাঁর দেশের সাফল্য তুলে ধরেন।
সভায় তিনি বলেন, চীন নব্যতাপ্রবর্তন, সমন্বয়, সবুজ, উন্মুক্ত, ও ভাগাভাগির নতুন উন্নয়ন-ধারণা কাজে লাগিয়ে, জনগণকে কেন্দ্র করে ও প্রাকৃতিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠাকাজের মাধ্যমে, উচ্চ মানের উন্নয়ন-প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় বর্জ্য-ব্যবস্থাপনায় লক্ষণীয় অগ্রগতিও অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই বিদেশি বর্জ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে চীনের সরকার। দেশের জমিদূষণের ঝুঁকি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে এবং কঠিন বর্জ্যের পুনঃব্যবহার-ব্যবস্থা সুসম্পূর্ণ হয়েছে।
তিনি জানান, চীন বর্জ্যমুক্ত শহর গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের ১০০টি শহরকে বর্জ্যমুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

আর্জেন্টিনায় ষষ্ঠ চীন আমদানি মেলার প্রচারানুষ্ঠান

মার্চ ৩১: ষষ্ঠ চীন আমদানি মেলার প্রচারানুষ্ঠান গতকাল (বৃহস্পতিবার) আর্জেটিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে আয়োজিত হয়। সেদেশের বিভিন্ন সংস্থা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা ব্যুরোর উপ-মহাপরিচালক লিউ ফু সুয়ে প্রচারানুষ্ঠানে বলেন, আমদানি মেলা আয়োজনের মাধ্যমে চীন বিশ্বের সামনে নিজের বাজারকে আরও উন্মুক্ত করেছে। আর্জেটিনা আমদানি মেলার পুরানো বন্ধু; দেশটির শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমবর্ধমান হারে এতে অংশ নিচ্ছে। দেশটির অনেক পণ্য চীনে বেশ জনপ্রিয়।
উল্লেখ্য, এবার ল্যাটিন আমেরিকার প্রথম প্রচারানুষ্ঠান আয়োজিত হলো আর্জেটিনায়। আর, ষষ্ঠ চীন আমদানি মেলা আগামী নভেম্বর শাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

চীনা সামরিক হুমকির’ অজুহাতে সামরিক বাজেট বাড়ানো অযৌক্তিক: চীনা মুখপাত্র

মার্চ ৩১: তথাকথিত ‘চীনা সামরিক হুমকির’ অজুহাতে কিছু দেশ তাদের সামরিক বাজেট বাড়াচ্ছে, যা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। গতকাল (বৃহস্পতিবার) চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য মুখপাত্র থান খ্য ফেই বেইজিংয়ে এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
মুখপাত্র বলেন, চীন সবসময় বিশ্বশান্তি, বৈশ্বিক উন্নয়ন, ও আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার পক্ষের শক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে। অন্যান্য দেশের জন্য চীন সুযোগ সৃষ্টি করে চলেছে, চ্যালেঞ্জ নয়।
তিনি বলেন, বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেট সবচেয়ে বেশি। আবার দেশে-দেশে যুদ্ধ-বিগ্রহ চাপিয়ে দেওয়া ও দাঙ্গা-ফাসাদ সৃষ্টির দিক দিয়েও যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে আছে। যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তিনি ব্রিটিশ সরকারকে চীন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পোষণ করতে এবং তথাকথিত ‘চীনা হুমকি তত্ত্ব’ প্রচারণা বন্ধ করতে আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশিত প্রতিরক্ষাবিষয়ক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীন ও রাশিয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আগামী দু’বছর প্রতিরক্ষা বাজেট ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে ব্রিটেন।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

চীনের বৈদেশিক ঋণ সম্পর্কে মার্কিন অর্থমন্ত্রীর নেতিবাচক মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য: চীনা মুখপাত্র

মার্চ ৩১: যুক্তরাষ্ট্রের উচিত, বিভিন্ন দেশকে দেওয়া চীনের ঋণ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা বন্ধ করে, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করতে বাস্তব উদ্যোগ নেওয়া। চীনের বৈদেশিক ঋণ সম্পর্কে মার্কিন অর্থমন্ত্রীর সাম্প্রতিক নেতিবাচক মন্তব্যের জবাবে গতকাল (বৃহস্পতিবার) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বেইজিংয়ে এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
উন্নয়নশীল দেশগুলো চীনা ঋণ নিয়ে সংকটে পড়ছে বলে মার্কিন অর্থমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তার জবাবে চীনা মুখপাত্র আরও বলেন, এটি ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য অভিযোগ। বস্তুত, চীন সবসময় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলে এবং উন্মুক্ততা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে, কোনোরকমের রাজনৈতিক পূর্বশর্ত ছাড়াই, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পুঁজি সরবরাহ করে আসছে। চীন বরং উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণের বোঝা কমাতে সচেষ্ট আছে।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান

মার্চ ৩০: জাতিসংঘের জেনিভা কার্যালয় ও সুইজারল্যাণ্ডের অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় চীনের প্রতিনিধি ছেন সু, গতকাল (বুধবার) জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৫২তম সম্মেলনে, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ প্রায় ৮০টি দেশের পক্ষে ‘ভিয়েনা ঘোষণা ও কর্মসূচি’ গৃহীত হওয়ার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেওয়া এক ভাষণে, উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানান।
ভাষণে তিনি বলেন, ‘ভিয়েনা ঘোষণা ও কর্মসূচি’ হচ্ছে বিশ্বের মানবাধিকার ইতিহাসে একটি মাইলফলক। বিগত ৩০ বছরে এই ঘোষণার চেতনায় আন্তর্জাতিক সমাজ মানবাধিকারের পথ অনুসন্ধান করে এসেছে। তবে, এখনও আন্তর্জাতিক সমাজ ক্রমবর্ধমান অসাম্য ও বৈষম্য, রাজনৈতিক মেরুকরণ ও বিভাজনসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এসব সমস্যা গুরুতরভাবে এই ঘোষণা বাস্তবায়ন ও এর উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

ছাই ইং ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করল চীন

মার্চ ৩০: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গতকাল (বুধবার) বেইজিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে, তাইওয়ানের ছাই ইং ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তার সাম্প্রতিক নেতিবাচক বক্তব্যের, তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে সরকারি পর্যায়ের যে-কোনো ধরনের বিনিময়ের বিরোধিতা করে চীন। তাইওয়ানের ক্ষমতাসীনরা কোনো অজুহাতেই যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারেন না। এটা ‘এক-চীননীতি’র লঙ্ঘন।
মুখপাত্র বলেন, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোড়া থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। আসলে, যুক্তরাষ্ট্রই এই সমস্যার সৃষ্টিকারী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ছাই ইং ওয়েনের প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্রে সফর নিয়ে চীনের ‘অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া’ দেখানোর কিছুই নেই।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

চীনের নতুন উন্নয়ন বিশ্বের জন্য নতুন সুযোগ বয়ে আনবে: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

মার্চ ৩০: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গতকাল (বুধবার) বেইজিংয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, চীনের নতুন উন্নয়ন বিশ্বের জন্য নতুন সুযোগ বয়ে আনবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি চীনের উন্নয়ন ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন থেকে একাধিক ইতিবাচক সংকেত পাওয়া গেছে। চীনা অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের সম্ভাবনা প্রবল এবং এ উন্নয়ন বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষার অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে যাবে।
মুখপাত্র মাও বলেন, এবারের সম্মেলনে সহযোগিতা নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে এবং যৌথ কল্যাণকে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশিত বলে তুলে ধরা হয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে মতৈক্য ও সহযোগিতা দরকার এবং চীন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্মুক্ত ও সহযোগিতার নতুন অধ্যায় উন্মোচন করতে ইচ্ছুক।
চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন দমননীতি সম্পর্কে মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বাজার অর্থনীতি এবং ন্যায্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার নীতিতে সম্মান করে চলা।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

হাইনানে ছিন কাংয়ের সাথে পাপুয়া নিউ গিনির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত

মার্চ ৩০: চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন কাং, আজ (বৃহস্পতিবার) হাইনানে বোআও এশীয় ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে আসা, পাপুয়া নিউ গিনির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাস্টিন থাতচেনকোর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে ছিন কাং বলেন, গেল বছর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সফল বৈঠক হয়, যা দু’দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে নতুন চালিকাশক্তি যুগিয়েছে। দু’দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পৌঁছানো মতৈক্য কাজে লাগিয়ে, পারস্পরিক সম্মান, সমতা, কল্যাণের ভিত্তিতে, পাপুয়া নিউ গিনির সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত করতে চীন ইচ্ছুক। ‘এক-চীননীতি’তে অবিচল থাকায় দেশটির ভূয়সী প্রশংসাও করে বেইজিং।
এসময় পাপুয়া নিউ গিনির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন তাঁর দেশের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ও অংশীদার। তাই, দেশটি ‘এক-চীননীতি’ ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করার নীতিতে অবিচল থাকবে। চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্য, শিক্ষা ও মানবিক ক্ষেত্রের বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোর ফোরামের কাঠামোতে দু’পক্ষের সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে তাঁর দেশ ইচ্ছুক বলেও জানান তিনি।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

ভালুকায় ওসির উদ্যোগে মাদকাসক্ত কিশোর পেলো স্বাভাবিক জীবন।

জিএম, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেনের মানবিক উদ্যোগে সাব্বির (১৩) নামের এক মাদকাসক্ত কিশোর ফিরেছে স্বাভাবিক জীবনে। বৃহস্পতিবার সকালে থানার পক্ষ থেকে ওই কিশোর ও তার মা-বাবাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জনানো হয়।

সাব্বিরের পিতা বরকত আলী ও মা শাহানাজ আক্তার উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় বাজে ছেলেদের সাথে মেলামেশা করে মাদকাসক্ত হয়ে পরে। অনেক বুঝিয়ে ও মারপিট করেও ছেলেকে মাদক থেকে ফেরাতে পারিনি। এ পর্যায়ে সে মাদক বিক্রেতা হয়ে উঠে। আমরা তাকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সে গত ডিসেম্ভর মাসে পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হয়। পরে আমরা থানায় এসে ওসি স্যারকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করলে ওসি স্যার আমাদের ছেলেকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই সক্ষমতা আমাদের ছিলো না। পরে ওসি স্যার দয়া করে ওনার খরচে আমার ছেলেকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে প্রেরণ করে। তিন মাস মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে থাকার পর এখন আমার ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। আমরা ওসি স্যারের প্রতি চীর কৃতজ্ঞ।’

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, ‘কিশোর বয়সেই বাচ্চারা বেশিরভাগ সময়ে বকে যায়। নিন্মবিত্ত্ব পরিবার ও ছেলেটার বয়স খুব কম। তাই বাবা মাকে দেখে বিষয়টা আমি অন্য ভাবে চিন্তা করেছি। তাই মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে প্রেরণ করেছি।