


১৯৬১ সালে, চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ একে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক অবশেষ সুরক্ষা ইউনিটের প্রথম ব্যাচ হিসাবে ঘোষণা করে; ২০০০ সালের নভেম্বরে, ইউনেস্কো জোখাং মন্দিরকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা’-য় পোতালা প্রাসাদের একটি সম্প্রসারণ প্রকল্প হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে। জোখাং মন্দিরের বিখ্যাত লামা নিমা সেরিং বলেন, ‘জোখাং মন্দিরে না আসা মানে লাসায় না আসা’। ২০০৯ সালের ৩ অক্টোবর জোখাং মন্দিরের পুনর্গঠন ও সুরক্ষাকাজ শুরু হয় এবং এই প্রকল্পে ১ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার ইউয়ান বরাদ্দ দেওয়া হয়।
জোখাং মন্দিরের পুনর্গঠন ও সুরক্ষা প্রকল্প হচ্ছে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ‘একাদশ পাঁচসালা পরিকল্পনায়’ ২২টি প্রকল্পের মধ্যে একটি। চীনের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার গবেষণালয় এ পুনর্গঠন ও সুরক্ষাকাজের প্রস্তাব দেয়। প্রকল্পটির পুনর্গঠন ও সুরক্ষাকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর, এই জোখাং মন্দিরের সকল স্থাপত্য ঝুঁকিমুক্ত হয়।
চায়নিজ একাডেমি অফ কালচারাল হেরিটেজ প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানে সহায়তা করার জন্য বহুবার বিশেষজ্ঞদের তিব্বতে পাঠিয়েছে। ২০১১ সালের ৮ জুন মন্দির সংরক্ষণকাজ সম্পন্ন হয়। জোখাং মন্দিরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে সমাপন অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।