মঙ্গলবার, অক্টোবর ৩, ২০২৩
spot_img
বাড়িআন্তর্জাতিকজোখাং মন্দিরের পরিচয়

জোখাং মন্দিরের পরিচয়

জোখাং মন্দিরটি প্রাচীন লাসা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। এটিকে তিব্বতি ভাষায় ‘চুলাখাং’ ও ‘জুয়ে খাং’ বলা হয়, যার অর্থ ‘বৌদ্ধ হল’। কেউ একবার বলেছিলেন: ‘যদি আপনি জোখাং মন্দিরে না গিয়ে থাকেন, তবে আপনি লাসাতে যাননি’।
মন্দিরটি সর্বপ্রথম ৬৪৭ সালে সোংটসান গাম্পো কর্তৃক নির্মিত হয় নেপালের ‘ছি চুন’ রাজকুমারীর তিব্বতে আসা উপলক্ষ্যে। সে ১৩৬০ বছর আগের কথা। ক্রমাগত সংস্কার ও সম্প্রসারণের পর, জোখাং মন্দিরটি এখন ২৫ হাজার ১০০ বর্গ মিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে রয়েছে।
জোখাং মন্দিরের অভ্যন্তরে ২০টিরও বেশি হল রয়েছে। মূল হলটি চার তলা এবং এর দুই পাশে রয়েছে সহায়ক হল। মূল হলের মাঝখানে শাক্যমুনির একটি সোনালি ব্রোঞ্জের মূর্তি রয়েছে যা ছাংআন থেকে রাজকুমারী ওয়েনচেং এনেছিলেন। দুই পাশের সহায়ক হলের ভেতরে সোংটসান গাম্পো, রাজকুমারী ওয়েনচেং ও চিজুনের মূর্তি আছে। তিব্বতের এই প্রাচীনতম সিভিল স্ট্রাকচারটি বিভিন্ন ধরনের স্থাপত্য শৈলীর মিশেলে তৈরী। উদাহরণস্বরূপ, মূল হলের উপরের অংশটি হল সোনার ধাতুপট্টাবৃত তামা টাইলের ছাদ, যা চীনের থাং রাজবংশ আমলের হান শৈলীর; ওয়াচটাওয়ার এবং খোদাই করা বিমগুলো তিব্বতি শৈলীর; ১০৩টি কাঠে খোদাই করা জন্তু ও স্ফিঙ্কসগুলো নেপালি ও ভারতীয় শৈলীর।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

প্রিয় পাঠক, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, cbnnews04@gmail.com ঠিকানায়। অথবা যুক্ত হতে পারেন chinabanglanews আমাদের ফেসবুক পেজে। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

এই বিভাগের আরও খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আমাদের লাইক পেজ

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় পোস্ট