


প্রিয় দর্শকমণ্ডলী, আপনারা কি কেকজাতীয় মিষ্টি খাবার খেতে পছন্দ করেন? আজকের অনুষ্ঠানে আমি সিনচিয়াংয়ের একজন তরুণ সহকর্মীর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি সিনচিয়াংয়ের একটি কেকের দোকানের মালিক। আসুন তাঁর সাথে পরিচিত হই।
এই তরুণ সহকর্মীর নাম মান চিয়ান। তাঁর বছর ৩২ বছর। তিনি এবং তাঁর দুলাভাই সিনচিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ‘এ মিন’ জেলায় একটি কেকের দোকান চালান। দুলাভাইয়ের দায়িত্ব কেক বাছাই করা, মান চিয়ানের দায়িত্ব হচ্ছে কেক বানানো। দুলাভাইয়ের স্ত্রী মানে মানের বোনের দায়িত্ব কেক সাজানো।
এই দুটো ছোট্ট পরিবার একসাথে এই দোকান পরিচালনা করছে। শুরুর দিকে এই দোকানের আয়তন ছিল মাত্র ৬০ বর্গমিটার। পাঁচ বছর পর এখন দোকানের আয়তন ১৪০ বর্গমিটারেরও বেশি। মান চিয়ান বলেন, তাঁর দোকানে কেকের ধরন দিন দিন বাড়ছে। তাঁর স্ত্রীও নিজের কাজের ফাঁকে দোকানে এসে সাহায্য করেন।
মা চিয়ান আমাদেরকে বলেন, তাঁর এক সুখী পরিবার আছে। তাঁর যমজ ছেলে আছে, যারা অনেক মিষ্টি দুটি শিশু। ওরা আল্ট্রাম্যান খেলতে পছন্দ করে। ছেলেদের সুন্দর হাসি দেখে নিজের মনে অনেক আনন্দ পান তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁদের প্রচেষ্টায় তাদের দোকান আরও ভাল হবে এবং আরও বেশি রকমের কেকজাতীয় মিষ্টি খাবার তৈরী করতে পারবে।
মান বলেন, সুখী জীবনে কেকজাতীয় মিষ্টি খাবার সকলের জন্য আনন্দ বয়ে আনুক। সবার জীবন হোক কেকের মতো মিষ্টি—এই তাঁর কামনা।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।