তিব্বতে ফসল বছরে একবারই হয়। এখানে উত্পাদিত খাদ্যশস্যের মধ্যে রয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের বার্লি, মটর, লম্বা শিম, গম, বাকউইট, চাল এবং শীতকালীন গম প্রভৃতি। আর অর্থকরি ফসলের মধ্যে প্রধানত রয়েছে তেল, গম, চিনি, বীট, ইত্যাদি।
পশুপালন শিল্প তিব্বতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। গোটা চীনের পাঁচটা বৃহত্তম তৃণভূমি এলাকার একটি তিব্বত। তিব্বতের উত্তরাঞ্চলে প্রধান পশুসম্পদের মধ্যে রয়েছে ভেড়া, ছাগল, ইয়াক, গবাদি পশু এবং হলুদ গবাদি পশু।
ইয়ারলুং জাংবো নদীর মধ্য ও নিম্ন অববাহিকা, ‘শান নান’ এলাকা এবং পূর্ব গিরিখাত অঞ্চলে ঘন কুমারী বন রয়েছে। চীনের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বন এলাকাগুলোর অন্যতম এটি। এতে প্রধান গাছের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে স্প্রুস, ফার, রেড পাইন, সাদা বার্চ এবং চাইনিজ পাইন। ফ্রিটিলারিয়া, কর্ডিসেপস, স্নো লোটাস, স্কর্পিয়ন, বোরাক্স এবং অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদ এবং খনিজ পদার্থ ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। ফলের মধ্যে রয়েছে পীচ, নাশপাতি, এপ্রিকট এবং আপেল এবং কিছু জায়গায় আখ, আঙ্গুর এবং সাইট্রাস উৎপন্ন হয়।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।
Leave a Reply