তিব্বতে এখন পর্যন্ত ১০১ ধরনের খনিজসম্পদ আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কয়লা, ক্রোমিয়াম, টেবিল লবণ, প্রাকৃতিক সালফার, বোরন, মাইকা ও সীসা, কোরান্ডাম, ম্যাগনেসিয়াম আকরিক, জিপসাম, থানারডাইট, ব্যারাইট, লোহা, ইত্যাদি।
তিব্বত জলসম্পদে সমৃদ্ধ। এখানে আছে অনেক নদী ও হ্রদ। এখানে জলবিদ্যুতের মজুদ আনুমানিক প্রায় ২০ কোটি কিলোওয়াট। এখানকার হ্রদগুলোর মধ্যে সল্টওয়াটার লেক বেশি। তিব্বতে ভূ-তাপীয় সম্পদ প্রচুর। এখানে কিছু মাঝারি ও ক্ষুদ্র আকারের জলবিদ্যুতকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সৌরশক্তির সম্পদের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে তিব্বত। ভূ-তাপীয় সম্পদের দিক দিয়ে তিব্বতের অবস্থান গোটা চীনে প্রথম। মূলত এর দক্ষিণাঞ্চলে এ সম্পদ বেশি। আবিষ্কৃত ভূ-তাপীয়সংশ্লিষ্ট এলাকার সংখ্যা ৬ শতাধিক। এগুলোর মধ্যে ৩০টিরও বেশি জায়গা উচ্চ তাপমাত্রাযুক্ত, যেখান থেকে জিওথার্মাল বিদ্যুত উত্পাদনের সম্ভাবনা ৩ লাখ কিলোওয়াট। ‘ইয়াং পা চিং’-তে চীনের প্রথম উচ্চ তাপমাত্রার ভূ-তাপীয় পরীক্ষামূলক স্টেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে লাসায় বিদ্যুত সরবরাহ করা যায়।
তিব্বতের দক্ষিণাঞ্চলের ভূগর্ভস্থ জলের তাপমাত্রা স্থানীয় স্ফুটনাঙ্ককে ছাড়িয়ে যাওয়া জায়গার সংখ্যা ৪০টিরও বেশি। দুটো জায়গায় বায়ুশক্তি সবচেয়ে বেশি। এখানকার বাঙ্গর এলাকায় প্রতি সেকেন্ডে ৩ মিটারেরও বেশি গতির বায়ু প্রবাহিত হয় বছরে ৪০০০ ঘন্টার বেশি। আর প্রতি সেকেন্ডে ৬ মিটারের বেশি গতির বায়ু পাওয়া যায় বছরে ১৫০০ ঘন্টার বেশি।
তিব্বতে বনের আয়তন প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ হেক্টর, যা গোটা তিব্বতের মোট ভূমির ১১ শতাংশের বেশি। বন্যপ্রাণী ও বণ্য উদ্ভিদ আছে ২৩০০ রকমেরও বেশি; পাখি আছে ৪৮০ ধরনের; স্তন্যপায়ী প্রাণী শতাধিক ধরনের; উভচর প্রাণী ৪০ ধরনের; সরীসৃপের ধরন ৫০-এর অধিক; বিরল পাখি ও প্রাণীর ধরন ৩০-এর বেশি; উচ্চ পর্যায়ের উদ্ভিদের রকম ৫৮০০টিরও বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন আবিষ্কৃত ৭০০টিরও বেশি ধরনের মধ্যে ২০টিরও বেশি ইতোমধ্যেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা উদ্ভিদ তালিকায় অন্তভুক্ত হয়েছে।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।
Leave a Reply