


তিব্বতে মালভূমির জলবায়ু। এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাপমাত্রা নিম্ন, বৃষ্টিপাত কম, পাতলা বায়ু, পর্যাপ্ত রোদ এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান বেশি। এখানে চারটি প্রাকৃতিক এলাকা আছে। প্রথমত, ‘জাং পেই অঞ্চল’, এখানে জলবায়ু শুকনো এবং ঠাণ্ডা, গড় তাপমাত্রা ০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে, জুলাই মাসে গড় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি হয় না, গ্রীষ্মকালে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি বেশি, শীতকাল ও বসন্তকালে প্রবল বাতাস আছে, বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩০০ মিলিমিটার। দ্বিতীয়ত, লাসা অঞ্চল। এখানে জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র । জুলাই মাসে গড় তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এখানকার বর্ষাকাল, নদী উপত্যকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪০০ মিলিমিটারের কাছাকাছি। তৃতীয়ত, ‘জাংপেই অঞ্চল’। এখানে জুলাই মাসে গড় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, মেঘ ও বৃষ্টি বেশি, বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬৮০ মিলিমিটারের কাছাকাছি, শীতকাল ও বসন্তকালে তুষার পড়ে বেশি। চতুর্থত, ‘জাংনান অঞ্চল’। ভারত মহাসাগরের স্রোতের প্রভাবে জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র, জুলাই মাসের গড় তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০০০ মিলিমিটারেরও বেশি। একে ‘তিব্বতের চিয়াংনান’ নামে ডাকা হয়। গোটা অঞ্চলে সূর্যালোক-ঘন্টার সংখ্যা ৩১০০ থেকে ৩৪০০-এর মধ্যে, এখানকার সূর্যালোক সময় সবচেয়ে লম্বা।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।