


সিনচিয়াংয়ে সড়কপথ, রেলপথ ও আকাশপথ মিলে একটি ভালো পরিবহন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে।
রেলপথ: ‘লানচৌ-উরুমচি’ লাইনটি প্রধান। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘পো থৌ-লানচৌ’ এবং ‘লিয়ান ইয়ুন কাং-লানচৌ’ নামক দুটো লাইন। সিনচিয়াংয়ের রেলপথ সরাসরি রাজধানী বেইজিং এবং শানতুংয়ের উপকূলীয় এলাকায় পোঁছেছে। দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ের রেলপথটি উরুমচি থেকে শুরু হয়ে, ‘থিয়ান শান’–এর মধ্য দিয়ে, কোরলা অতিক্রম করে কাশি পর্যন্ত পৌঁছেছে। উত্তর সিনচিয়াংয়ের রেলপথটি উরুমচি থেকে শুরু হয়ে ‘উসু সিখ্যশু’ ও আলাশান পর্যন্ত গিয়ে, কাজাখস্তান রেলপথের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এ রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৪৩১৯.৭ কিলোমিটার।
সড়কপথ: এখানে ‘লিয়ান ইয়ুন কাং-হরগোস’ ও ‘তুর্পান-হোতান’ মহাসড়কসহ অনেকগুলো জাতীয় পর্যায়ের সড়ক রয়েছে। সিনচিয়াংয়ের সড়কপথের মোট দৈর্ঘ্য ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৫০ কিলোমিটার, যার মধ্যে মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ১৪৫৯ কিলোমিটার।
সিনচিয়াংয়ে উরুমচি, কাশি, ইনিং, আলতায়, কোরলা, কিমো, আকসু ও হোতানে বিমানবন্দর রয়েছে। এসব বিমানবন্দর ব্যবহার করে দেশের ৪০টি শহরে পৌঁছানো যায়। সিনচিয়াং থেকে বিমানযোগে মস্কো, আলমাটি, বিশকেক, ইসলামাবাদ, নভোসিবিরস্ক, শারজাহ, তাশখন্দ, ইয়েকাতেরিনবার্গ (সভারডলভস্ক), ইত্যাদি আন্তর্জাতিক শহরেও পৌঁছানো যায়।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।