


মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
আলোকচিত্রের মাধ্যমে সুফিজমকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিআইআরআই)’র উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ছবি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন ও ডিআইআরআই’র ট্রাস্টি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী’র সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম, ডিআইআরআই’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি ও গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী, ইউনাইটেড হাসপাতাল ঢাকা’র ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও প্রধান ডা. রশিদ উন নবী।
এছাড়া পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খান এগ্রো গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দুল হক খান, চট্টগ্রাম ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মউদুদুল আলম ও বর্তমান সভাপতি অনুজ কুমার বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিআইআরআই’র আন্তর্জাতিক ফটো অ্যাওয়ার্ড আয়োজক কমিটির স্যালুন চেয়ারম্যান শোয়েব ফারুকী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,“পৃথিবীতে মানুষ নানা অন্যায়, পাপাচারে লিপ্ত হয়। মানুষকে অন্যায় থেকে বিরত রেখে সত্যের পথে পরিচালিত করার জন্য যুগে যুগে আল্লাহ আধ্যাত্মিক সাধকদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। উনাদের কর্ম, চিন্তাধারা, মানবকল্যাণ মানুষকে সত্যের পথ দেখিয়েছে। সমাজকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য উনারা চিরজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।”
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম আধ্যাত্মিক সাধকদের পূণ্যভুমি। চট্টগ্রামের মানুষেরাও ধর্ম পরায়ন। আগে সুফিজমের চর্চা হতো না, এখন চর্চা হচ্ছে। সত্যিকারের ধর্ম মানুষকে পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। আমরা অনেক সময় আমাদের দায়িত্ব ভুলে যাই। আধ্যাত্মিক সাধকরা আমাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেন।”
ডিআইআরআই’’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি ও গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, আলোকচিত্রের মাধ্যমে সুফিজমকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বের মোট ৫১টি দেশ থেকে আলোকচিত্রীরা অংশগ্রহণ করেছেন। তারা তাদের ছবির মাধ্যমে সুফিজমের নানা নিদর্শন তুলে এনেছেন।
তিনি বলেন, সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী মানুষের কল্যাণে সপ্তকর্ম পদ্ধতি প্রবর্তন করে গেছেন। সপ্তকর্ম পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে প্রত্যেক মানুষ আত্মশুদ্ধি করতে পারেন।
বিশ্বের ৫১টি দেশের ৭২৪ জন আলোকচিত্রী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। মোট ২৫৭৮টি ছবি থেকে ২০০টি ছবি বাছাই করা হয় প্রদর্শনীর জন্য। এর মধ্যে চারটি ক্যাটাগরিতে ৫৯ জন আলোকচিত্রীর ১৫১টি ছবিকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় ছবি নির্বাচনে জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন ইউনাইটেড হাসপাতাল ঢাকা’র ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও প্রধান ডা. রশিদ উন নবী, ম্যাপ ফটো এজেন্সির আলোকচিত্রী হাসান সাইফুদ্দীন চন্দন, ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার আবির আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ তুষার, সিনিয়র ফটোগ্রাফার কাজী গোলাম কুদ্দুস হেলাল ও ডিরি’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী।
এর আগে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন গ্যালারিতে তিনদিনব্যাপী ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রদর্শনীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন ও ডিআইআরআই’র ট্রাস্টি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী, একুশে পদকপ্রাপ্ত বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম, ডিআইআরআই’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি ও গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী, ইউনাইটেড হাসপাতাল ঢাকা’র ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও প্রধান ডা. রশিদ উন নবীসহ অতিথিরা।
ডিআইআরআই’র আয়োজনে ও সৃজনশীল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, গ্লোবাল ফটোগ্রাফিক ইউনিয়ন, সিলি সানাত সারাইয়ি ও চট্টগ্রাম ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ছবি প্রদর্শনী চলবে। প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত।