বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিশ্বের অনেক দেশই অভিভূত। অনেকের কাছেই এ দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম বিস্ময়কর। অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে, বিশেষ করে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় দেশে নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা শতভাগ বাস্তবায়ন করার জন্য। এ দেশের সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি কী তা অনেকেই জানতে ইচ্ছুক। এমন মন্তব্য করেছেন এজেন্সি ফ্র্যাঞ্চাইজি ডি ডেভেলপমেন্ট, এএফডি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর বেনোয়েট চাষাত।
শনিবার (১৪, আগষ্ট, ২০২১) ‘বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা: বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারের ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে এসব বলেন তিনি। ওয়েবিনারের আয়োজন করে ঢাকা ওয়াসা।
এতে ঢাকা ওয়াসার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে উন্নয়নের গতিধারায় বাংলাদেশ এশিয়া অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় জিডিপি, মাথাপিচু আয়সহ অর্থনীতির বিভিন্ন পরিমাপে অনেক এগিয়ে। আরবান সুবিধাসহ সেনিটেশন, পানি ও স্বাস্থ্য খাতেও বাংলাদেশ সফল।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসামান্য অবদানের জন্য বাঙালির জাতির পিতার আসনে তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের ফসল এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল দেশ স্বাধীন করেই ক্ষান্ত হননি। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে শুরু করেন মহাযজ্ঞ। শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সম্মিলিত উদ্যোগে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন বারবার। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছিল।
মন্ত্রী জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নেওয়ার জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ।বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা না করলে ২০০০ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ৩০ লাখ শহীদ হয় নিরীহ বাঙালি। সম্ভ্রম হারায় ২ লাখ মা-বোন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক নেতা, তার আদর্শে উদ্বুদ্ধ তারই কন্যা দেশের সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন এডিবি’র ডিরেক্টর নোরিয় সাইতো, বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাই-কমিশন প্রফেসর সুদর্শন ডি. এস. সেনভিরাত, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানসিধর মিসরা। শুরু কি-নোট উপস্থাপনে হাইকোর্টের বিচারক মো. রেজাউল হাসা
Leave a Reply