দেশের সবচেয়ে বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এর সূচক ৮ হাজার হওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা ১:০.০৮ অনুপাতে মার্জিন ঋণ সুবিধা নিতে পারবে। অর্থাৎ কোন বিনিয়োগকারীর নিজে অর্থে কেনা শেয়ার বা ইক্যুইটির ওপর সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ঋণ নিতে পারবে।
সম্প্রতি পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার) বিধিমালা ১৯৯৬ এর বিধি ৩৬ অনুযায়ী তফসিলে বর্ণিত মার্জিন ঋণ প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনা নং ৬ (১) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে নির্দেশনাটি দিয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে ৮০০১ বা তার চেয়ে বেশি ডিএসইএক্স সূচকের অবস্থানে ১:০.৫০ অনুপাতে মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে গ্রাহককে। অর্থাৎ তখন কোন বিনিয়োগকারীর নিজের অর্থে কেনা শেয়ার বা ইক্যুইটির ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন । করোনা পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে মার্জিন ঋণের সীমা পুনরায় নিধারণ করে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিএসিইসির জারি করা আদেশে।
এর আগে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল করোনা পরিস্থিতিতে আতঙ্কের বাজারে নীতিসমর্থন হিসেবে মার্জিন ঋণের (Margin Loan) সীমা বাড়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেসময় ,নতুন সীমা অনুসারে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত ১:০.৮ হিসেবে ঋণ দেওয়া যাবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীর মূলধন ১০০ টাকা হলে তাকে শেয়ার কেনার জন্য ৮০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক।
উল্লেখ্য গত কয়েক কর্মদিবসেই দেশের পুঁজিবাজারে বেড়েছে সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ। ঢাকার শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এখন অবস্থান করছে ৬ হাজার ৬৯৯ পয়েন্টে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার সূচকটিতে যোগ হয় ৭৬ পয়েন্ট। ঐ ডিএসইতে লেনদেন হয় ২ হাজার ৬শ ৬১ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
Leave a Reply