


অহিদুল ইসলাম, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় এমরান হোসেন রানা (৩৫) নামে আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মণ্ডলসহ ১০৪ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অতিরিক্ত আরও ২০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা রেজিয়া বিবি।
উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) প্রতিক বরাদ্দের পর গনেশপুর ইউনিয়নের সতীহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হানিফ উদ্দিন মন্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরীর নেতা কর্মীদের মাঝে নির্বাচনী প্রচার- প্রচারণা ও প্রাধান্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় উভয় পক্ষের ৮ জন কর্মী আহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে মাথায় প্রচন্ড আঘাতে রক্তাক্ত হওয়ায় গুরুতর জখম অবস্থায় রানাকেও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে রানার অবস্থার অবনতি ঘটলে আইসিইউতে নেয়া হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪ টার দিকে তিনি মারা যান। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সতিহাট কে টি স্কুল ও কলেজ মাঠে সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত রানার মা রেজিয়া বিবি বলেন, তার ছেলে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিল না। সে বাবুল চৌধুরীর বিআর সুপার পরিবহণের সুপারভাইজার ছিল। নির্বাচনী সহিংসতায় মারাত্মক ভাবে জখম হয়ে রানা মারা যায়। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করেছি। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর রহমান জানান, নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা সবাই পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তাদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।