


মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, জেলা প্রতিনিধি,নোয়াখালীঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বিএডিসি ফার্ম মাঠে রবিবার (১৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম অঞ্চলের বোরো ধানের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধিতে করনীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ও নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণর অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবং ফেনী সোনাগাজীর ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৈতী সর্ববিদ্যা ।
এছাড়াও এ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিএআরআই-এর নোয়াখালীর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী, নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সহিদুল হক, সসুবর্ণচরের বিএডিসি ফার্মের প্রকল্প পরিচালক আজিম উদ্দিন, উপপরিচালক মাহমুদুল আলম, বারটানের নোয়াখালী আঞ্চলিক কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জহির উল্যাহ, নোয়াখালীর বিনা উপকেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা, সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি অফিসার হারুন অর রশিদ প্রমূখ ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলে বোরো ধানের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধিতে সরকারি সার্বিক সহযোগিতা বাড়ানোর সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান।
কর্মশালায় কিনোট পেপার উপস্থাপন করেন ফেনী সোনাগাজীর ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার । এতে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বোরো মওসুমে অনেক জমি পতিত থাকে সেখানে বোরো ধানের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব। মুহুরি প্রকল্পের আওতায় প্রচুর স্বাদু পানি জমা থাকে যা দিয়ে অত্র অঞ্চলে বোরো মওসুমে ধানের আবাদ বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ আছে । উচ্চফলনশীল ও লবনাক্ততা সহনশীল জাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের বোরো ধানের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধির সমূহ সম্ভাবনা আছে। খামার যান্ত্রিককরণের মাধ্যমে সময় মত ধান আবাদ ও কর্তন করে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি ও শ্রমিক সংকট নিরসন করা সম্ভব। তিনি এ অঞ্চলে বোরো মওসুমে উচ্চফলনশীল জাত ব্রি ধান ৭৪, ব্রি ধান ৮৪, ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ এবং লবনাক্ত এলাকায় লবনাক্ততা সহনশীল জাত ব্রি ধান ৬৭, ব্রি ধান ৯৭ ও ব্রি ধান ৯৯ আবাদের মাধ্যমে বোরো ধানের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধির গুরুত্বারোপ করেন ।