


মোঃ রিয়াজুল ইসলাম,দুমকি (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা
সদ্য উদ্বোধন হওয়া( ২৪ অক্টোবর) পায়রা সেতুতে ১লা নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো সেখানে ঘটে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। মারা যায় স্কুলছাত্র রাইয়ান। আহত হয় আরও ২ জন। আহত দুজনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।এর মধ্যে গুরুতর আহত হওয়া অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. রাইয়ানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথিমধ্যে সে মারা যায় বলে নিশ্চিত করে রাইয়ানের বাবা।
রাইয়ানের সাথে থাকা অপর আহত দশম শ্রেণির ছাত্র মো. মোরশেদকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরা উভয়েই পটুয়াখালী শহরের বাসিন্দা। নিহত রাইয়ান পটুয়াখালী পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লুৎফর রহমান শাহারিয়ারের ছেলে এবং বেপারী বাড়ির বাসিন্দা।এর আগে মস্তিষ্কের ভেতরে গুরুতর চোট থাকায় রাইয়ানকে বরিশালে রেফার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নুরুন্নাহার।স্থানীয়রা জানান পায়রা সেতু উদ্বোধনের পর মাঝখানে ডিভাইডার থাকা সত্ত্বেও অনেক বাইকার রং সাইডে ড্রাইভ করে! ব্রীজের উভয় প্রান্তে পুলিশ চেকপোস্টের কার্যকারিতা বাড়ানোসহ সমগ্র ব্রিজে বিকেল চারটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত টহল পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে, নয়তো নান্দনিক এই ব্রীজটি মৃত্যুপুরীতে পরিনত হবে। ব্রীজের টোল পয়েন্ট দক্ষিণ প্রান্তে হবার কারনে উত্তর প্রান্ত থেকে আগত বাইকাররা টোলফ্রি থাকে, এরা দক্ষিণ প্রান্তের টোল পয়েন্ট পর্যন্ত না গিয়ে অনেকেই রং সাইডে ব্যাক করে। উঠতি বয়সের কিছু বাইকারদের দৌরাত্ম্য ব্রীজটিতে সাধারণ দর্শনার্থীদের মাঝে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। অতিদ্রুত এসব অনিয়ম বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
দুমকি থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।ঘটনাস্থলে থাকা সাব-ইনস্পেক্টর বিপ্লব কুমার জানান,সন্ধ্যার পর- এই দুর্ঘটনা ঘটে।চারলেনের পায়রা সেতুর মাঝে বিভাজন থাকলেও একটি মোটর সাইকেল রং সাইড দিয়ে অতিক্রম করছিল।এর মধ্যেই লেবুখালী প্রান্তের টোল পয়েন্টের উত্তর পাশে দুটি মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।