


ভাবলেশহীন তাড়িত দীর্ঘশ্বাসের অন্তর্ভেদী অন্তর্ভুক্তী! আঁধ খাওয়া সিগারেট পড়ে আছে অর্ধমৃত প্রণয়ের নিত্য সঙ্গী কোল বালিয়শের ধার ধরে। অজস্র নির্ঘুমতার অসংখ্য ব্যাখা মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে শত সহস্র বাস্তবতার ভীড়ে। ইচ্ছে হয় আজ আবার নিজেকে নিয়ে ভাবতে বসি,নতুন করে নিজেকে খুঁজি। বীজগণিত-পাটিগণিতের সূত্র মিশিয়ে মিলিয়ে দেখি এখনো বেঁচে আছি নাকি!
আজ নব হিসাবে জীবন রাঙিয়ে জীবন বিলাসে আড়ষ্ঠ হবার দিন। “দুঃখ বিলাসে” কষ্ট পুড়িয়ে আত্মগ্লানি সব ভস্ম করে উদযাপিত মহারথের সারথি ধরার দিন-
নির্ঘুম!
বিগলিত দীর্ঘবেদনা দীর্ঘশ্বাসের ফুলকা হয়ে আকাশজুড়ে পতিত। বিশালাকৃতি তীব্র যাতনায় বেশ আগ্রহ ভরে শুষে নিচ্ছে পুড়ে যাওয়া বিগলিত আত্মচিৎকারগুলো!
চাঁদের আলোয় একপা-দুপা করে আগাচ্ছিলাম। পাশ ধরে আমার প্রতিবিম্বও! হাতে আঁধ খাওয়া সিগারেট,পাগলা টানে পুড়িত হৃদয়ের বিগলিত লাভা ফস্কে গিয়ে ভস্ম হয়ে মিলে যাচ্ছে! বোধহয় পাথর কমছে,পা না ফেলেই উড়ছি গগনতলে।
রেলের করিডোর কেন জানি আজ ফাঁকা! তীব্র বাসনার ক্ষুধার্থের ভার নেই,বিপদসীমার পাশ ধরে পড়ে থাকা অর্ধমৃত মানুষের রাত্রীযাপনের সংখ্যাও নিছক কম,নেই বললেই চলে। দুঃখ বোধহয় মানুষের কমে গেছে! ভাল থাকার অসুখ বেড়েছে, কিংবা ভান ধরে নিজেই ভালো আছি বলে ঘোষণা দিচ্ছে।
আমি কোন কাতারে?
আমিও তো উচ্ছ্বাস ভরে উজ্জীবিত হয়ে হাসি,
ডুকরে কান্নার সুর লুকিয়ে সবার আড়ালে দীর্ঘবেদনা দীর্ঘশ্বাসে ঢাকি। তাহলে,আমিও ভালো আছি? বেঁচে আছি?