


নভেম্বর ১৭: যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে, স্থানীয় সময় ১৬ নভেম্বর বিকেলে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চলতি বছর চীন-জাপান শান্তি ও মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরের ৪৫তম বার্ষিকী। চুক্তিটি আইনের আকারে চীন ও জাপানের মধ্যে শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাধারণ দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
সি চিন পিং বলেন, তাইওয়ানসহ প্রধান নীতিগত বিষয়গুলো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তির সাথে সম্পর্কিত। চীন-জাপান সম্পর্কের ভিত্তি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা টোকিওকে নিশ্চিত করতে হবে। দু’দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলের সাথে গভীরভাবে জড়িত।
ফুকুশিমার পারমাণবিক দূষিত জল সমুদ্রে নিঃসরণ সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, এটি গোটা মানবজাতির স্বাস্থ্য ও বৈশ্বিক সামুদ্রিক পরিবেশের সাথে সম্পর্কিত বিষয়। জাপানের উচিত দেশে ও বিদেশে বৈধ উদ্বেগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা এবং একটি দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে সঠিকভাবে দূষিত পানি ব্যবস্থাপনা করা।
জবাবে ফুমিও কিশিদা বলেন, জাপান শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে চলবে এবং কোনো পরিবর্তন ছাড়াই তাইওয়ান সমস্যা মোকাবিলায় জাপান-চীন যৌথ বিবৃতি মেনে চলবে।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।