


মো. রিয়াজুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. মোঃ শাহজাহান মিয়া ছিলেন একজন গণমানুষের নেতা এবং একজন কিংবদন্তি। সবাই তাঁকে দলমত নির্বিশেষে শ্রদ্ধা করতেন। তাঁকে পটুয়াখালীর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সুস্থধারার রাজনীতি চর্চা করতেন তিনি। নৈতিকতা ও রাজনৈতিক আস্থা দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন কিংবদন্তির আসনে। আধুনিক পটুয়াখালী বিনির্মানে তিনি অসামান্য ভূমিকা পালন করেন।
তথ্যমতে, সুস্থধারার রাজনীতি চর্চাকারী এ ব্যক্তিত্ব ১৯৪০ সালের ১৭ জানুয়ারি পটুয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবী ও বরেণ্য রাজনীতিবিদ। ষাটের দশকে বিএম কলেজ থেকে ছাত্রাবস্থায় রাজনৈতিক জীবন শুরু করে ১৯৬৭ সালে মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী জেলা আ’লীগের সদস্য, ১৯৭৩ সালে পটুয়াখালী পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ১৯৯১ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি পটুয়াখালী-১ আসন থেকে ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৮ সালে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও তিনি পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
ব্যক্তিগত জীবনে শাহজাহান মিয়ার তিন ছেলে, এক মেয়ে। তাঁর বড় ছেলে আক্তারুজ্জামান বাচ্চু জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। মেজ ছেলে মো. তারিকুজ্জামান মনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ছোট ছেলে আরিফুজ্জামান রনি জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি।
পটুয়াখালীর জন্য অন্তপ্রাণ এ মানুষটি ৮৩ বছর বয়সে শনিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
তাঁর মৃত্যুতে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বমহল ও সাধারণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আগামীকাল সকাল ১১ টায় পটুয়াখালীর রাসেল স্কায়ার এলাকায় জানাজা শেষে চির নিদ্রায় শায়িত হবেন এ মহান নেতা।