


সারা মন্দিরের পুরো নাম ‘সারা মহায়ানা দ্বীপ’, যা লাসার উত্তর শহরতলী থেকে ৩০০০ মিটার দূরে সারা উজি পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত। তিব্বতি ভাষায় ‘সারা’ মানে ‘বন্য গোলাপ’। কথিত আছে, মন্দিরটি যখন নির্মিত হয়, তখন চারপাশে বুনো গোলাপ ফুটে উঠেছিল; তাই এর নাম দেওয়া হয় ‘সারা মঠ’। এই মন্দিরটির নির্মাণকাজ ১৪১৯ খ্রিস্টাব্দে শুরু এবং ১৪৩৪ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়। সারা মন্দির ১ লাখ ১০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে।
মন্দিরটিতর অনেক মূল্যবান সাংস্কৃতিক অবশেষ সংরক্ষিত আছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫০০ বছরের পুরানো শাক্যমুনি বুদ্ধের সিল্ক মূর্তি। যদিও সারা মন্দির ড্রেপুং মঠের মতো বড় নয়, তবে এটি নানান কারণে বিখ্যাত। ‘সূত্র বিতর্ক’-কে তিব্বতি ভাষায় ‘ছুননিচুওপা’ বলা হয়, যার অর্থ ‘ধর্ম’। এটি তিব্বতি বৌদ্ধ লামাদের জন্য সূত্র অধ্যয়নের একটি প্রয়োজনীয় উপায়। তাদের বেশিরভাগই খোলা জায়গায় বা মন্দিরে গাছের ছায়ায় সূত্র অধ্যয়ন করেন।
সারা মঠে একটি বিতর্ক বাগান রয়েছে। সাধারণত প্রতি বুধবার বিকেল ৩টার পরে, সন্ন্যাসীরা মন্দিরে জড়ো হন এবং ধর্ম বিষয়ে বিতর্ক তথা আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন। গোটা প্রক্রিয়াটি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। সারা মনাস্ট্রি থেকে খুব দূরে রহস্যময় স্কাই কবরের প্ল্যাটফর্ম। স্কাই কবরের প্ল্যাটফর্মের রাস্তার অবস্থা খারাপ, এবং এমনকি, আপনি যদি সেখানে পৌঁছাতে পারেনও, আপনাকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যারা সেখানে যেতে চানই, এ বিষয়টি মাথায় রেখে যাবেন।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।