রবিবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
spot_img
বাড়িআন্তর্জাতিকরাজকুমারী ওয়েনছেংয়ের প্রাসাদ—রামোচে মন্দির

রাজকুমারী ওয়েনছেংয়ের প্রাসাদ—রামোচে মন্দির

রামোচে মন্দির জোখাং মন্দিরের প্রায় ৫০০ মিটার উত্তরে অবস্থিত। এটি ও জোখাং মন্দিরকে একসাথে ‘লাসার দুই মন্দির’ বলে ডাকা হয়। রামোচে মন্দির থাং রাজবংশ আমলের জোখাং মন্দিরের মতো একই সময়ে নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এটি প্রায় ৪০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত আছে।
রামোচে মন্দিরের স্থাপত্য বিন্যাস তুলনামূলকভাবে সহজ-সরল; সামনের ও পিছনের অংশে বিভক্ত। সামনের অংশটি হল উঠান এবং পিছনের অংশটি হল মন্দির। মন্দিরে গেট টাওয়ার, প্রার্থনা ক্লোস্টার, এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা আছে।
ঐতিহাসিক পট-পরিবর্তনের কালে, রামোচে মন্দিরটি বেশ কয়েকবার পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। বর্তমানে যেসব ভবন দেখা যায়, সেগুলোর অধিকাংশই পরবর্তী প্রজন্মের দ্বারা পুনর্নির্মিত হয়েছে। শুধুমাত্র মন্দিরের মূল অংশটি এখনও তার আসল চেহারা ধরে রেখেছে।
রামোচে মন্দিরের নিচ তলাটি তিনটি ভাগে বিভক্ত: গেট কোর্ট, সূত্র হল, এবং বৌদ্ধ হল। এর করিডোরে প্রচুর চমত্কার ম্যুরাল আছে। দ্বিতীয় তলার সামনের অংশটি সন্ন্যাসীদের আস্তানা এবং মাঝখানের অংশটি হল গ্রেট সূত্র হলের উঠানের পিছনে দুটি প্রধান হল। তৃতীয় তলার সামনে দালাই লামাদের জন্য ছয়টি বিশেষ বাসস্থান রয়েছে; পিছনে আছে গোল্ডেন রুফ হল। সূর্যালোকের সংস্পর্শে গোল্ডেন রুফ হলের উপরের তলায় স্থাপিত হান-স্টাইলের সোনার টাইলসগুলো চকচক করে। আগ্রহী পর্যটকরা মন্দিরের স্তম্ভে খোদাই করা পদ্ম, সিরাস, গয়না এবং ছয়-অক্ষরের মন্ত্রে তিব্বতি ঐতিহ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
এই মন্দিরে ছাংআন থেকে রাজকুমারী ওয়েনছেং কর্তৃক আনা শাক্যমুনির ১২ বছর বয়সী প্রমাণ সাইজের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। আর জোখাং মন্দিরে কাঠমাণ্ড থেকে আনা ৮ বছর বয়সী শাক্যমুনির প্রমাণ সাইজের মূর্তি স্থাপন করা হয়। এই মূর্তিটি এনেছিলেন নেপালের রাজকুমারী চিজুন।
সোংটসান গাম্পোর মৃত্যুর পর, রাজকুমারী ওয়েনছেং জোখাং মন্দির ও রামোচে মন্দিরে রাখা শাক্যমুনির মূর্তিগুলো বিনিময়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই এখন রামোচে মন্দিরে শাক্যমুনির ৮ বছর বয়সী মূর্তিটি সংরক্ষিত দেখা যায়। রামোচে মন্দিরে অনেক মূল্যবান সাংস্কৃতিক পূরাকীর্তি রয়েছে। এখানে আছে প্রায় ২ মিটার উঁচু ব্রোঞ্জের বোধিসত্ত্ব, প্রায় ১.৫৫ মিটার উঁচু পদ্মসম্ভবের ব্রোঞ্জ মূর্তি, এবং প্রায় ১.৩৩ মিটার উঁচু একটি মহিলার ব্রোঞ্জ মূর্তি। এগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।

প্রিয় পাঠক, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, cbnnews04@gmail.com ঠিকানায়। অথবা যুক্ত হতে পারেন chinabanglanews আমাদের ফেসবুক পেজে। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

এই বিভাগের আরও খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আমাদের লাইক পেজ

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় পোস্ট