


যদি এক কথায় তিব্বতের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও সমগ্র ছিংহাই-তিব্বত মালভূমিকে বর্ণনা করতে বলা হয়, তাহলে ‘বিশ্বের ছাদ’ টার্মটি সবচেয়ে উপযুক্ত হতে পারে। ৩ কোটি বছর আগে ভারত মহাসাগরের প্লেট ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে সংঘর্ষের সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ মালভূমির জন্ম হয়েছিল। সে থেকে এর উচ্চতা প্রতিবছর কয়েক সেন্টিমিটার করে বাড়তে থাকে। এখানে আছে সুউচ্চ ও মহিমান্বিত পর্বতমালা, দীর্ঘ নদী, বিস্তীর্ণ তৃণভূমি, সুমিষ্ট বন, গিরিখাত, শান্ত ও গভীর হ্রদ, এবং স্ফটিক-স্বচ্ছ হিমবাহ। এখানকার পবিত্র পাহাড় ও পবিত্র পানি কি স্বর্গে যাওয়ার পথ? নাকি এটি স্বয়ং স্বর্গের কাছাকাছি অবস্থিত একটি এলাকা? এ এক প্রশ্ন বটে।
তিব্বতের সৌন্দর্য অফুরন্ত। এই সুন্দর ও মহান ভূমিটি বিশ্বের অগণিত মানুষের হৃদয়কে টানে। অনেকে একে একটি আবাসস্থল হিসাবে বিবেচনা করেন, যা আত্মাকে প্রশান্ত করে, পরিশুদ্ধ করে। তাদের দৃষ্টিতে, পৃথিবীর ছাদে অবস্থিত তিব্বত স্বর্গের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত এবং এর পাহাড়, নদী ও পানি স্বর্গীয়। যতক্ষণ আপনি এখানে ভক্ত-হৃদয়ের অধিকারী, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি বিভ্রান্তিকর চিন্তা থেকে মুক্ত; আপনি যে-ই হোন না কেন, এই ভূমিতে হাঁটা স্বর্গে হাঁটার মতো।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।