


চট্টগ্রাম চকরিয়ায় মিথ্যা মামলা ভূয়া রিপোর্ট’র কুকৌশলী-নুরুল আমিন।সে নিজেই ভূয়া রিপোর্ট সৃজন করে।সাবেক সেনা সদস্য পরিচয়ে,পুলিশের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, ডুকুমেন্টস জালিয়াতি,কুকৌশলী কারিগর, আইন আদালত তার হাতের মুঠোয়। নিজের অপরাধ ধাঁমাচাঁপা দিতে মরিয়া হয়ে দাপটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বেপরোয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তার নুরুল আমিন।ভয়ঙ্কর কর্মকান্ডে ভুক্তভোগীকে জিম্মি করে উল্টো মামলায় জড়িয়ে ফাঁদে ফেলেন ভুক্তভোগী অসহায় আবুল হাশেমকে।
পুলিশের যোগসাজশে মিথ্যা মামলা দিয়ে ভুক্তভোগী ও পরিবারকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা।অন্যকে ফাঁসতে গিয়ে উল্টো নিজেই ফেঁসে গেলেন নিজের জালে নুরুল আমিন। নিজেই কম্পিউটারে মিথ্যা ভূয়া রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়েসব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। অসৎ মুখোশ উন্মোচনে ধরা খেলেন। এ নিয়ে শেফা ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার এর মালিক আরিফ বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত নিজেই সাজানো পাতানো,বনোয়াট,গল্পে নাটকীয়,
কথামালায়,পূর্ব পরিকল্পিত,কুকৌশলে,কারসাজি জালিয়াতি করে ডকুমেন্টস তৈরি করে। এবং সবরকম ক্ষয়ক্ষতিতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে ভুক্তভোগী ও পরিবারের দাবি।
এর আগে চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় আবুল হাশেম কে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী আমিন এবং তার পরিবারের সদস্য সহ সাঙ্গুপাঙ্গু নিয়ে হামলা চালিয়েছে।
তবে শেফা ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার এর আসল রিপোর্ট কে একদম হুবহু নকল করেছে নুরুল আমিন। তারা কম্পিউটারে ভূয়া সার্টিফিকেট তৈরি করে পুলিশের যোগসাজশে হাশেমের এজাহার দেখে সেটিও নকল করেছে আমিন এবং আবুল হাশেমের মামলায় যারা সাক্ষী হয়েছেন তাদের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে নুরুল আমিন । এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে আবুল হাশেমের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বেশকয়েজন সমঝোতার কথা বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে । আবার একদিকে সমঝোতার কথা বলছে অন্যদিকে সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে এমনটাই জানালেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযুক্ত নুরুল আমিন গত ৫নভেম্বর আপনাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কোন রিপোর্ট নিয়েছে,এমন প্রশ্নের জবাবে শেফা ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার এর মালিক আরিফ বলেন, আমাদের থেকে কোন রিপোর্ট নেয় নাই। নুরুল আমিন একজন প্রতারক এইটাও নিজে তৈরি করছে। আমাদের ডায়াগনিস্টক সেন্টারের কোন ডকুমেন্টে নাই। এবং আমাদের যেখানে এন্টি হয় অনলাইনে,খাতায় ও মেমোতে কোন জায়গায় এইটা এন্টি নাই। আমরা অনলাইন থেকে রিপোর্ট দিয়ে থাকি সেখানেও এন্টি নাই। এইটি বানোয়াট ও প্রতারক মূলক কাজ করেছে। সে নিজেই কম্পিউটার থেকে তৈরি করে প্রতারণা করেছে। তা দিয়ে মামলা করেছে। এইটার জন্য আমার প্রতিষ্ঠানের সুনামহানী ও ক্ষতি করেছে।আমি এর প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবাদ জানাই এবং ওর বিরুদ্ধে আমি একশন নিবো এবং থানায় অভিযোগ দিয়েছি যা পক্রিয়াধীন রয়েছে ।
এদিকে ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে বলেন,শেফা ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে।কিন্তু মালিক পক্ষ যেটাকে নকল বলছে সেটা আমরা কিভাবে বলবো কোনটা আসল আর কোনটা নকল। কারণ আমাদের কাছে কোন এক্সপার্ট নেই। আমি অভিযোগের ভিত্তিতে বিবাদী নুরুল আমিন কে খোঁজতে সুরাজপুর তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম কিন্তু কাউকে পাই নাই। এই অভিযোগে আর একজন কে বিবাদী করা হয়েছে তার রড-সিমেন্টের দোকানে গিয়েছি তাকেউ পায় নাই।
ভুক্তভোগী আবুল হাশেম গণমাধ্যম কে বলেন,নুরুল আমিন তার সাঙ্গুপাঙ্গু দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমি চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে চকরিয়া থানায় গিয়ে ওসিকে বিস্তারিত বলি এবং থানায় এজাহার দায়ের করি। কিন্তু আসামিরা আমার এজাহার নকল করে নুরুল আমিন আমাদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারি তারা যে সার্টিফিকেট দিয়ে মামলা করেছে সেটাও ভূয়া। তাদের বিরুদ্ধে শেফা ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার এর মালিক চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ।
তিনি বলেন,ওসি তাদের মামলা আগে দেখিয়ে আমাদের মামলা কে কাউন্টার মামলা দেখিয়েছে। তারা যে মামলা করেছে তা-ও মিথ্যা।হাশেমের পরিবারের সদস্যরা বলেন,
আমরা বারবার মামলার কথা বললেও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যেন অন্য কিছু বুঝাতে চাচ্ছে। আর তিনি মামলা নিতে গড়িমসি করে এবং পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি সহকারী পুলিশ সুপার মহোদয় কে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক আমাদের সামনে ওসিকে ফোন দিয়ে মামলা নিতে বলেন। তবে তিনি বলার পরও টাকার বিনিময়ে মামলা নেন ওসি।
তারা আরও বলেন,যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট দিয়ে মামলা করেছে সেটা ভূয়া রিপোর্ট বলে জানতে পারি। তার কারণ হলো শেফা’র মালিক তাদের নামে থানায় অভিযোগ করেছে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমেও জানিয়েছে।
কিন্তু ঘটনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ওসির যোগসাজশে নুরুল আমিনের পরিকল্পিত পথে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে যা ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে।ওদের মামলা আগে নিয়ে আমাদের টা কাউন্টার মামলা দেখিয়েছে। সব তাদের সাজানো পূর্ব-পরিকল্পনা। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও সহায়তায় যতাযথ পদক্ষেপ নিতে আকুল আবেদন করছি। সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশে সহযোগিতা করে উপকৃত করবেন এবং চীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।