মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য ভাঙ্গা সেই শরীয়াতুল্লাহ্কে (২২) নিয়ে সোশাল মিডিয়া সরব হয়ে উঠেছে।
আটককৃত যুবক বিগত দিনে ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার ফেসবুক আইডিতে ছাত্রলীগের সব আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রামসহ উপজেলা ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে রয়েছে একাধিক ছবি।
একজন ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে কীভাবে এমন কাজ করেন তা নিয়ে অনেকের মনে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা।
তবে ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, ছেলেটা আগে আমাদের মিছিল-মিটিংয়ে আসত কিন্তু ইদানীং সে জামায়াত-শিবিরে যোগদান করে এ কাজ করেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ সিকদার ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে বলেন, একসময় আমাদের মিছিল-মিটিংয়ে থাকত, তবে কয়েক মাস ধরে আমাদের কোনো প্রোগ্রামে আসে না; হয়তো জামায়াত-শিবিরে যোগ দিয়ে এমন কাজ করেছে।
মামলার বাদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ গোলাম মর্তুজা বলেন, ছাত্রলীগ করে কিনা তা আমি জানি না, তবে মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আসল ঘটনা বলতে পারবে।
দুমকি থানার ওসি (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান বলেন, আসামি তার নিজের মুখেই দায় স্বীকার করেছে এবং কোর্টে আমরা রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছি। রিমান্ড মঞ্জুর হলে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানা যাবে।
উল্লখ্য, শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে দুমকি উপজেলা কমপ্লেক্সের জয়বাংলা চত্ত্বরে জেলা পরিষদের অর্থায়ণে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভর ওপরে উঠে মাথার অংশ ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে দেয় শরীয়াতুল্লাহ্ । এসময় শব্দ শুনে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা কর্মী ও কোয়ার্টারের কর্মকর্তা -কর্মচারীরা হাতে নাতে ওই যুবককে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় ‘দা’ ও মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য মাথার বিচ্ছিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
Leave a Reply