রবিবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
spot_img
বাড়িসারা বাংলাসেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে'র বুক সেলফ বিতরণ-মাইজদী

সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বুক সেলফ বিতরণ-মাইজদী

মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।

নোয়াখালীর মাইজদী রেলগেইটের সেলুনে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে ‘র বুক সেলফ বিতরণ। বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বদৌলতে প্রায় সবার হাতেই একটি স্মার্ট ফোন রয়েছে। ক্লিক করলেই সারাবিশ্ব হাতের মুঠোয়। তবুও যারা নিরন্তর বসে বসে লিখে গেছেন বা লিখছেন কবিতা, গল্প উপন্যাস, প্রবন্ধ বা শিক্ষনীয় অন্যান্য রচনাবলী,তাদের সেসব লেখাগুলো অনলাইনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া বইয়ের মলাটের সুগন্ধও সেখানে বোধহয় পাওয়া সম্ভব নয়। মূলত সেলুনে আগত সেবাগ্রহীদের দীর্ঘ সিরিয়ালের ফাঁকে সময় কাটাতে আকর্ষণীয় বই বা শিক্ষনীয় গ্রন্থ নজরে পড়লে বই পড়ার ইচ্ছে জাগ্রত হবে পাঠকদের মাঝে।পরক্ষণে বই পড়ে জ্ঞানের পরিধি বাড়াবে সেবাগ্রহী।বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও দেশের বাইরে অনেক সেলুনে এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায়
আজ নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টস্থ রেলগেইট বাজারে জীবন দেবনাথের সেলুনে বুক সেলফ বিতরণ করা হয়। এ পাঠাগারের উদ্বোধন করেন বাজার কমিটির সভাপতি আবদুল করিম কবির।এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরি মোঃহোসেন।

এসময় উদ্বোধক আবদুল করিম কবির বলেন, “সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে” – সময়ের প্রয়োজনোপযোগী একটি কার্যক্রম। যেখানে ক্রমশঃই হারিয়ে যাচ্ছে মানবতা ও বই পড়ার আগ্রহ,সেখানে এমন উদ্যোগের ফলে বই পড়ায় পাঠক তৈরি হবে।যা আলোকিত মানুষ গড়ার নেপথ্যে কাজ করবে।

প্রধান অতিথি মোঃহোসেন বলেন,সেলুনে পাঠাগার স্থাপন একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। সকলের উচিত অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়ানো।এতে মানুষের মাঝে সুকুমার বৃত্তি বাড়বে।

সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র উদ্যোক্তা কবি গোলাম মাওলা জসিম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে নাটকীয়ভাবে তরুণ প্রজন্মের যোগাযোগের পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। আর এর ফলে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমে গেছে। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বইয়ের পাঠক। পাঠবিমুখতা দূর করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে আমার এ উদ্যোগ।এক্ষেত্রে সেলুন অন্যতম একটি স্থান।যেখানে সময়ের সঠিক ব্যবহারে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাবে।

বুক সেলফ হস্তান্তর কার্যক্রমে সেলুন মালিক ছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, অবসরে বই পড়ুন’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ৩০ জুন গোলাম মাওলা জসিমের নিজ এলাকা নোয়াখালীতে রতনের সেলুনে বই ও আলমারি বিতরণের মাধ্যমে এ ব্যতিক্রমী কার্যক্রম শুরু হয়।যা ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থাপন করা হয়েছে।

প্রিয় পাঠক, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, cbnnews04@gmail.com ঠিকানায়। অথবা যুক্ত হতে পারেন chinabanglanews আমাদের ফেসবুক পেজে। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

এই বিভাগের আরও খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আমাদের লাইক পেজ

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় পোস্ট