রবিবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
spot_img
বাড়িশিক্ষাদুমকিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের দিলেন স্কুল শিক্ষক!

দুমকিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের দিলেন স্কুল শিক্ষক!

চায়না বাংলা ডেস্কঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএস সি পরীক্ষার্থীদের টেষ্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে হুবহু ওই প্রশ্নের ওপরে সাদা কাগজে টিউটোরিয়াল টেস্ট লিখে প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিলেন ওই স্কুলের এক সিনিয়র  শিক্ষক।

প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের হাতে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সাথে ওই শিক্ষকের হাতের লেখার হুবহু মিল থাকায় প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি নিশ্চিৎ হওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুরাদিয়ার জয়গুননেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি’র টেস্ট (বাছনিক) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং’র কারনে ২৫ অক্টোবরের স্থগিতকৃত ইংরেজি ২য় পত্রের পরীক্ষা গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) নেয়া হয়। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান তার প্রাইভেট শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষার আগের দিনই প্রশ্নপত্র দিয়ে একটি টিউটোরিয়াল টেস্ট নেন। বিষয়টি জানাজানি হলে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানায়, যারা হাবিব স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়েন তাদের সবাইকে স্যার আগের দিনই প্রশ্ন দিয়ে দিয়েছেন। তারা পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১ঘন্টা আগেই সব লিখে বের হয়ে গেছেন। আমরা যারা তার কাছে প্রাইভেট পড়িনা তারা কিছুই লিখতে পারিনি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ঘটনার বিষয়ে জানতে ওই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে গেলে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইংরেজি শিক্ষক হাবিবুর রহমান অচেতন হয়ে পড়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষকের আকস্মিক অচেতন হওয়ার বিষয়টি জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন তিনি অজ্ঞান হননি, ভান ধরে ছিলেন। গণমাধ্যমকর্মীদের এ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে তাই তার এমন নাটক। অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমান অসুস্থতার অযুহাতে বাসায় অবস্থান করলেও কারো ফোন ধরছেন না। একাধিকবার ফোন দেয়া হয়ার পর তার স্ত্রী পরিচয়ে ফোন রিসিভ করলেও তিনি কথা বলতে পারছেন না বলে ফোন কেটে দেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের স্কুল থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, তবে সে (ইংরেজি শিক্ষক) কোথায় প্রশ্ন পেয়েছে তা আমি জানি না।

উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা বদরুন নাহার ইয়াসমিন বলেন, ইউএনও স্যারের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি, তবে আমি প্রধান শিক্ষককে ৮/১০ফোন দিয়েছিলাম সে আমার ফোন রিসিভ করেনি। খোলা তারিখে ইউএনও স্যারের সাথে বসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রিয় পাঠক, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, cbnnews04@gmail.com ঠিকানায়। অথবা যুক্ত হতে পারেন chinabanglanews আমাদের ফেসবুক পেজে। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

এই বিভাগের আরও খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আমাদের লাইক পেজ

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় পোস্ট