রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
spot_img
বাড়িStoriesছোট গল্প: পিশাচ । ১ম পর্ব

ছোট গল্প: পিশাচ । ১ম পর্ব

গল্প : পিশাচ
ক্যাটাগরি :হরর রহস্য।
পর্ব : ১ম
লেখক :মোঃ রাজন ইসলাম

ঘুরেফিরে এমন বাড়িতে উঠলাম। নিজেই নিজেকে গালি দিতে মন চাচ্ছে। অবশ্য বাড়িটা অনেক পুরনো হলেও দেখতে দারুণ । বাড়িটাই অনেক কারুকাজ করা আছে‌। অনেক বড় বাড়ি। যাই হোক বাড়িটা পরিষ্কার করতে লাগলাম। সারা বাড়ি ধুলোবালি আর মাকরসার জালে ঘিরে আছে। এসব পরিষ্কার করতে করতে হাঁপিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার রুমটা কোনমতে পরিষ্কার করলাম। পুরো দিন কেটে গেল এই কাজ করতে। কম দামে থাকার জন্য বাড়িটা নিলাম। এখন দেখছি যা খাটাখাটনি করছি তাতে বাড়ির দাম ঠিকই পড়ে যাচ্ছে। রুমটা পরিষ্কার করলাম সবকিছু ঠিকঠাক করে। খাবারের ব্যবস্থা করতে লাগলাম ।রান্নাঘরের অবস্থা নাই। এটা ঠিক করতে অনেক টাইম লাগবে তাই আর ঠিক করলাম না। আমার সাথে ফ্লাক্স ছিল । ওটা দিয়ে চা বানিয়ে গরম গরম চা খেতে খেতে পুরো বাড়িটা একবার ঘুরে দেখলাম। বাড়িটা সত্যিই অনেক বড় ঘুরতে ঘুরতে তা বুঝতে পারলাম। পুরো বাড়িতে ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবস্থা আছে। ঘুরতে ঘুরতে একটা হলরুমের মত জায়গায় চলে আসলাম অনেক বড় একটা রুম। ভালো করে খেয়াল করে দেখি রুমটার দেয়ালে খ্রিস্টানদের একটি ক্রাশ রাখা। বুঝতে পারলাম এটা কোনো সময়ে গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কোন কারণে হয়তো এখন আর এটা ব্যবহার হয় না । কেমন ধুলো ময়লা পড়ে সব কিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এত কম দামে এত বড় একটি বাড়ি পাবো আমি বুঝতেও পারিনি। এ পাশে মনে হচ্ছে একটি বুকশেল রয়েছে। হয়তো এখানে অনেকে এসে পড়তো সময় কাটাতো এবং জ্ঞান অর্জন করত।

বুক সেলফটা অনেকদিন বন্ধ আছে বলে মনে হচ্ছে। বুক সেলফটার উপরে বড় করে খোদাই করে লেখা আছে ১৮১৮ । অনেক আগের বুক সেলফ এটা। একটা কাপড় দিয়ে কয়েকটা বাড়ি দিলাম। একটু পরিষ্কার করে বক্সের টা খুললাম।

অনেক বই দেখলাম । ধর্মীয় বই বেশি তবে কিছু কিছু এডভেঞ্চারের বই রয়েছে। বুক সেলফটার এক ভাগে দেখলাম শুধু ব্ল্যাক ম্যাজিকের বই। একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখি বইগুলোর ভিতর একটি বই জ্বলজ্বল করে নতুনের মতো জ্বলছে। কিন্তু বইটার উপর অনেক ধুলোবালি পড়ে আছে ।বইটার প্রতি অনেক আগ্রহ জাগলো। এতগুলো বইয়ের ভিতর এই বইটা জ্বলছে কেন তাই বইটা বের করলাম। ওখানেই পড়ার ব্যবস্থা আছে তাই বইটা নিয়ে একটা টেবিলের উপর বসে পড়লাম। বইটা থেকে আগ্রহ দমাতে পারছি না তাই বইটা তাড়াতাড়ি খুলে ফেললাম। বইটা খোলার সাথে সাথে ওই রুমের ভিতর একটা ঝড় বয়ে গেল। মনে হল অনেকদিন পর বাতাস বইছে এই রুমে ।চারদিকে ধুলোবালি উড়তে লাগলো। বাতাস থামার পর বইটার দিকে মনোযোগ ।দিলাম বইটা দেখেই চমকে উঠলাম। প্রথম পাতায় বড় বড় করে লেখা পিশাচ এনা। ভালো করে বুঝলাম এটা কোন কিছুর রক্ত দিয়ে লেখা।

এমন পরিস্থিতির শিকার এর আগে কখনো হয়নি। বইটা পড়তে শুরু করলাম। আমি এনা লন্ডনের এক রাজ পরিবারের মেয়ে। রাজার মেয়ে, তাই ছোট থেকে অনেক আদর যত্নে বড় হয়েছি। আমার বয়স যখন ১৬ বছর তখন আমার বাবা ইন্ডিয়াতে যায়। সাথে আমিও ছিলাম। তখন ইন্ডিয়া শাসন করতো লন্ডন সরকার। আমার বাবা ইন্ডিয়ার লর্ড নিযুক্ত হন তাই তাকে ইন্ডিয়াতে যেতে হয়। তার সাথে আমিও যাই এতে করে ইন্ডিয়াটাও ঘুরে দেখে আসা হবে।

বাবার সাথে অনেক আনন্দ করে গেলাম। বাবার সাথে অনেক ঘুরলাম। ইন্ডিয়ার গুজরাটে যায় সেখানে অনেক ব্ল্যাক ম্যাজিক করা হতো। আমার এসবের প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল ছোটবেলা থেকেই। তাই আমি ওখান থেকে অনেকগুলো ব্ল্যাক ম্যাজিকের বই কিনি। বাবার একমাত্র মেয়ে ছিলাম তাই বাবা আমাকে কিছু করতে নিষেধ করতেন না। আমার যা মন চায় তো আমি তাই করতাম কিন্তু এই কারণেই আমার সুখ হারিয়ে যায়। যেটা আমার এই সুখের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়। আমি সেখান থেকে নানারকম বই কিনে আর সবগুলোই ঝিল ডাকিনীর বিদ্যা। আমার ভূত পেতের বই করতে ছোটবেলা থেকেই ভালো লাগে তাই বইগুলো কিনি। আর আমার বইগুলো আমি সংগ্রহ করে রাখতাম যাতে করে না হারায়। আমার জীবনের পরম ভুল ছিল এই ডাকিনী বিদ্যার বই পড়া। যা আমার জীবন থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। কিছুদিন পরেই আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ইন্ডিয়াতে অনেক চিকিৎসা করানো হয় কিন্তু কোন লাভ হয়নি । আমার বাবার দিন দিন আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

আমার বাবাকে লন্ডনে পাঠানো হলো জরুরী চিকিৎসা করার জন্য । কিন্তু চিকিৎসা করানোর পরেও আমার বাবা মারা যায়। অনেকদিন অসুস্থ থাকার পরে তার শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। আমার বাবার মন্ত্রী তখন চারদিকে গুজব রটাতে থাকে যে আমি পিশাচ সিদ্ধ । ইন্ডিয়াতে গিয়ে কালো জাদু শিখেছি এবং এখানে এসে আমার বাবার ওপর প্রয়োগ করেছি। কিন্তু আমি ডাকিনি নই আমি পিশা সিদ্ধ নই। আমি এসব বই শুধু পড়তাম। আমি পিশার সিদ্ধ নয়। কিন্তু কেউ আমার কথা বিশ্বাস করত না। সবাই ঝড়ের গতিতে রটিয়ে বেড়াতে শুরু করেছিল আমি পিশাচ সিদ্ধ।

আমার মা আমাকে বিশ্বাস করত । আর তিনি তখন রাজার আসনে বসেন। কারণ আমি আমার বাবার একমাত্র আদরের মেয়ে ছিলাম । আমার মা তখন আমার কিছু হতে দেয়নি। ছোট থেকে আমার বাবা-মা দুজনে আমাকে অনেক ভালোবাসতো।

আমার মায়ের শাসনকালে সবাই আমার মাকে পিশাচ সিদ্ধ বলে আখ্যায়িত করত আড়ালে। সামনে করার সাহস পেত না । রাজ্য পরিচালনা করা টেনশন তার ওপর আমার গুজব মাকে আরো টেনশনে ফেলে দেয়। আমার মা ও একদিন রাতে স্টক করে মারা যায়। তখন আমাকে দেখার মত কেউ ছিল না যে সে আমার পাশে দাঁড়াবে। সবাই তখন আমার বিপক্ষে। আমার মা মরার পরে মন্ত্রী সিংহাসনে বসে পড়েন।
আর তিনি চারদিকে আমার নামে ডাকিনি বিদ্যার খেতাব ছরাতে থাকেন। সবাই বলে আমি পিশাচ সিদ্ধ ডাকিনি। ইন্ডিয়াতে বাবাকে খেয়েছি এখানে এসে মাকে খেয়েছি। যদি এনাকে এভাবে রাখা যায় তাহলে সে সবাইকে মেরে ফেলবে। তখন সবাই তার কথা বিশ্বাস করলো এবং আমাকে এন্ড্রু ফাদারের বাসায় নিয়ে আসা হল। তার বাসার সাথে গির্জা আছে দুইটা জিনিস নিয়েই তার বাসা। আমাকে উলঙ্গ করে না খাইয়ে দেবতার সামনে টানা তিন দিন বেঁধে রাখে। তাদের বিশ্বাস এর মাধ্যমে আমার শরীর থেকে ডাকিনী বিদ্যা বের হয়ে যাবে। আমাকে এই তিন দিন না পানি না খাবার কোন কিছুই খেতে দেয়নি। আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিল এভাবে থাকতে। আমি তাদের অনেক মিনতি করে বলতাম আমি ডাকিনি নই। আমি পিশা সিদ্ধ কোন কিছুই শিখিনি। আমি শুধু বইগুলো পড়েছি আমাকে তোমরা ছেড়ে দাও। কিন্তু কেউ আমার কথা শুনে নি সবাই আমাকে নানাভাবে কষ্ট দিত আমার ভিতরে ডাকে নিয়ে বিদ্যা আছে বলে। ঐদিন দিন আমাকে কড়া পাহারাতে রাখা হয় কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি।

পড়তে পড়তে কখন যে নিজের চোখের পানি বের হয়ে গেছে তা আমি বুঝতেই পারিনি। চোখের পানি হাতের উপর পড়লো তখন আমার মুখে কেটে গেল বই থেকে। ঘড়িটা তখন ঢং ঢং করে আওয়াজ দিল মানে বারোটা বেজে গেছে। তাই আমিও আর দেরি না করে বইটা বন্ধ করে শুতে চলে আসলাম ‌। আমি আমার রুমে এসে শুয়ে ভাবছি ডাইরিটা পড়া কি ঠিক হবে? এটা একটা মেয়ের জীবন চক্র নিয়ে লেখা যায় ইংরেজ সময়ে ঘটেছিল। আমি একটা ছেলে আর ও একটা মেয়ে এটা কি পড়া ঠিক হবে?

এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ি। পরের দিন আমার এক বন্ধুকে ফোন করি। সে হোস্টেলে থাকতো আমি তাকে আমার কাছে থাকার জন্য ডাকি। একা একা এই নির্জন বাড়িতে থাকতে ভয় করে। যতই নিজেকে সাহসী প্রমাণ করি না কেন।

সকালের খাবার তৈরি করছি তখনই বেল বাজার আওয়াজ পায়। দরজা খুলে দেখি জ্যাক। আমার ক্লাসমেট। আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা জ্যাক। এখন লন্ডনে, থাকে আমার সাথে পড়াশোনা করে।

— কি দোস্ত এত সকাল সকাল?
–আরে হোস্টেলের খাবার খেয়ে ভোর হয়ে গেছি তাই তোর বাড়িতে চলে আসলাম তাড়াতাড়ি।
–তোর অনেক দুর্ভাগ্য
–কেন?
–বাড়িটা আমি এখনো ঠিকমতো গুছাতে পারিনি। আর নিজের খাবার নিজেই ? হাহাহা
–ওহো তাহলে তো লাভ হলো না
–হাহাহাহা ভেতরে আই
–চল

আমরা ভেতরে এসে আমি খাবার তৈরি করতে লাগলাম ।জ্যাক বাড়িটা ঘুরে দেখছে। আমি খাবার তৈরি করছি এমন সময় ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেল হিম শীতল।
যেমন ঠিক কবরস্থানে রাত্রে গেলে মানুষের মাঝে হিমশীতল বাতাস বয়ে যায় ঠিক তেমনি বাতাস।

কিন্তু হঠাৎ এমন হিমশীতল বাতাস কেন বইছে। বাতাসটা একদম শির দ্বারা ভেদ করে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করছে।

আমি সেদিন কোনো নজর না দিয়ে খাবার তৈরিতে মনোযোগ দিলাম। কাল রাতে শুধু চা খেয়ে ঘুমিয়েছি এখন অনেক খিদা লেগেছে। আর এখন দিনের বেলা এসব ভয় পেলে চলবে না। তাই খাবার তৈরিতে মনোযোগ দিলাম।
হঠাৎ আমার গানের কাছে গুনগুন শব্দ শুনতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে কেউ আমাকে কিছু বলছে। কিন্তু ভালো করে চারদিকে খেয়াল করলাম কেউ নেই আশেপাশে।
আমার ভয় করছিল না বললে ভুল হবে। ভয় করছিল। কিন্তু হয়তো দিনের আলো আছে বলে অতটা ভয় করছিল না। আমি খাবার তৈরিতে আবার মনোযোগ দিলাম।

হঠাৎ হিম শীতল বাতাসের প্রভাবটা অনেক বেড়ে গেল। মনে হচ্ছে বাতাসটা আরও শীতল হয়ে যাচ্ছে। আর শীতল বাতাস আমার দিকে আরো কাছে চলে আসছে।
শিরদাঁড়া বেয়ে বাতাস মগজে পৌঁছে যাচ্ছে। এতটা শীতল বাতাস কোন তুষার ঝড়ের সময়ও হয় না। আর বাতাসের গতিপথ আমি ‌।

হঠাৎ আমার কাঁধের উপর শীতল কোন কিছুর স্পর্শ অনুভব করলাম। আমি ভাবলাম জ্যাক এসেছে কিন্তু জ্যাকের হাত এত শীতল হবে না। আমি পিছনে তাকাতেই আমার হার্টবিট বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম ।

আমার সামনে একটা উলঙ্গ মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর মুখ দিয়ে গলগল করে কালো রক্ত পড়ছে। একদম পাইপ দিয়ে পানি বের হলে যেমন হয়। রক্তের বন্যা। কিন্তু সব রক্ত মরা। কালো রক্ত মুখ দিয়ে বের হচ্ছে। আর ওই ভাবেই মুখ দিয়ে কিছু বলছে কিন্তু রক্ত বের হওয়ার জন্য মুখ দিয়ে শুধু ঘর ঘর আওয়াজ হচ্ছে। আমার মুখ হাত-পা কিছু কাজ করছে না। আমার হার্টবিট একজন সাধারন মানুষের থেকে চারগুণ দ্রুত কাজ করছে। আপনি ভালো তো এমন বীভৎস চেহারা দেখার কোন আশা করিনি।

আমার দিকে উলঙ্গ মেয়েটা এগিয়ে আসছে। মুখ দিয়ে অনবরত কালো রক্ত বের হয়ে যাচ্ছে। আমার সামনেই চলে এসেছে আমি চিৎকার দেই একটা তারপর আমার আর কিছু মনে নেই।

আমার যখন জ্ঞান ফিরে তখন আমি দেখি বিছানাতে শুয়ে আছি। মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করছে। এতটা ভয়ের জিনিস আমি এর আগে কখনো দেখিনি। আজকে যা দেখলাম তা ভোলার মত নয়। ভাবলেই শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠছে। এসব ভাবছি তখন জ্যাক আমার রুমে প্রবেশ করে।
–সাগর তোর কি হয়েছিল তখন
–কই কিছু নাতো
–তাহলে রান্নাঘরে পড়ে গেছিলি কেন?
–মাথাটা হঠাৎ ঝিমঝিম করে ওঠে তারপর আর কিছু মনে নেই।
–তুই কিছু লুকাচ্ছিস না তো?
–না না কি লুকাবো?
–না আমি বাড়িটা চারপাশে ঘুরছিলাম আর একটি চিৎকারের আওয়াজ পায় তারপর এসে দেখি তুই পড়ে আছিস
–বাদ দে ।চল খেয়ে নেই ।অনেক ক্ষুদা লেগেছে।
তারপর আমরা দুজন খেতে গেলাম । খাওয়া-দাওয়া করে জ্যাককে একটা রুম পরিস্কার করে দিলাম সে তার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ল। ওর নাকি অনেক ক্লান্ত লাগছিল তাই তার রুমে গিয়ে শুয়ে পর। শুতে না শুতে নাক ডাকিয়ে ঘুম শুরু করে ।আমিও আমার রুমে চলে আসি।

রাত তখন দশটা আমারও অনেক ঘুম পাচ্ছিল তাই ঘুমাবো বলে ঠিক করলাম। বিছানাতে শুয়ে চোখ বুঝতেই সেই স্বপ্নের দুনিয়ায় চলে গেলাম । আমি শুয়ে আছি আমার পায়ের কাছে সেই মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে। উলঙ্গ অবস্থায়। কিন্তু তখন তার মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল না। সে আমার দিকে এগিয়ে আসছিল । আমার ডান পাশে দাঁড়িয়ে মেয়েটি আমার হাতে একটি বই দেয়। আর যখনই কিছু বলতে যাবে তখনই তার মুখ দিয়ে গলগল করে আবার রক্ত পড়তে থাকে।
আমি এটা সহ্য করতে পারিনি ।

ঘুম ভেঙে যায় আমার। পুরো শরীর ঘামে ভিজে গেছে। এমন ভাবে মেয়েটি বারবার কেন আমার সামনে আসছে। আমাকে কি সে কিছু বলতে চাচ্ছে?

কিন্তু কিছু বলতে লাগলেই তার মুখ দিয়ে রক্তের ফোয়ারা বের হয়ে আসছে আর সেই রক্ত সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা । একদম কালো রক্ত যা মৃত মানুষের শরীর থেকে বের হয়। আমার হাতে কিসের একটি বই দিচ্ছিল মেয়েটা, বইটা কিসের? আমার তখন মনে পড়ে যায় এনার লেখা একটি ডাইরি পড়েছিলাম আমি কালকে।

এনার ডায়েরির সাথে এই মেয়েটির কোন সম্পর্ক নেই তো? বইটা আমার হাতে দিতে চাচ্ছিল তার মানে বইটা আমাকে করতে বলছে।

আমি ঘুম ভেঙে বিছানা থেকে উঠে হলরুমের দিকে গেলাম। রুমটা অনেক বড়। একদম নির্জন রুম। আমি এনার ডাইরিটা বের করলাম।
ডায়েরিটা দেখলে যে কারো পড়ার নেশা চলে আসবে ।রুমের ভিতর চকচক করছে। আমি ডায়েরিটা নিয়ে আবারো মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়তে লাগলাম।

চলমান ………..

গল্পে কিছু ১৮+ কথা ব্যবহার করা হয়েছে । যা গল্প টাকে মানানসই করতে ব্যবহার করা হয়েছে। তাই দয়া করে কেউ এটা খারাপ মনে করবেন না। সবাই নিজ মনে পড়বেন।

প্রিয় পাঠক, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, cbnnews04@gmail.com ঠিকানায়। অথবা যুক্ত হতে পারেন chinabanglanews আমাদের ফেসবুক পেজে। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

এই বিভাগের আরও খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আমাদের লাইক পেজ

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় পোস্ট