রবিবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
spot_img
বাড়িসারা বাংলাবিকৃতমনা শিশুধর্ষক ২৪দিন পর আটক পুলিশ হাতে।

বিকৃতমনা শিশুধর্ষক ২৪দিন পর আটক পুলিশ হাতে।

মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।

৭বছরের শিশুকে লোমর্ষক ধর্ষণের রহৎস্য উদঘাটন করে বন্দর থানা পুলিশ।সিসিটিভির ফুটেজ বের করে তদন্তের মাধ্যমে নানা প্রাথমিক আলামত ও তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের জেরে চাঞ্চল্যকর বিকৃতমনা ধর্ষকের বেশভুশা পাল্টিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা আটক পুলিশের হাতে।

গতকাল রাত ৯টায় নগরীর ডবলমুরিং থানার বেপারি পাড়া এলাকা থেকে ওসমান হারুণ মিন্টুকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। বিকৃতমনা এ ধর্ষকের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে।

বিরিয়ানির লোভ দেখিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ বন্দর কলোনীর ৮ নং রোডের পরিত্যক্ত একটি ভবনে ৭ বছরের শিশুকন্যা সুরমাকে মুখে গামছা পেচিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের পর গলা টিপে হত্যা করেছিল বিকৃতমনা এ ধর্ষক।
ধর্ষনের পর হত্যা করেছিল মিন্টু নামক এই পাষন্ড। চাঞ্চল্যকর এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি মুহুর্তেই ফলোআপ হয়েছিল গণমাধ্যমের শিরোনামে।

গত মাসের ১৭ তারিখ হালিশহরের কে ব্লক থেকে বিরিয়ানীর লোভ দেখিয়ে নিজের রিক্সায় উঠায় এবং বন্দরের ৮ নং গলির একটি পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে মুখে গামছা পেচিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের পর গলা টিপে হত্যা করে বিকৃতমনা এ ধর্ষক। নগরীর হালিশহর থানার বুইল্লা পাড়ার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো ৭ বছরের ওই শিশুটি। অভাবের তাড়নায় বাবা রিক্সা চালাতো এবং মা এ বাড়ি ও বাড়িতে ভিক্ষা করে সংসার চালাতো। নিহত সুরমার বাবা রিক্সাচালক কাউছার বিলাপ করে বলেন, আমার মাইডারে ওরা মাইরা ফেলাইলো, আমি যদি জানতাম, এমন ঘটনা ঘটবো তাহলে কি তার আর বাইরে যাইতে দিতাম। নিহত সুরমার মা জানান, দুপুরে সুরমারে রাইখা বাসার কাজে রাইর হইছিলাম। আমি কি আর জানতাম? এভাবে আমার মাইডারে সে মাইরা ফেলাইবো। আমি তার ফাসি চাই, আমি তার ফাসি চাই। ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের রহস্যের উদঘাটনে করতে গিয়ে পুলিশকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছিল।

নিজের মেয়ের চাইতে বয়সে ছোট সুরমাকে হত্যার পর এলাকায় ছদ্মবেশে ঘুড়ে বেড়াতো এ পাষন্ড। পেশায় রিক্সাচালক হলেও নিজের বেশবুশা,লুংগি গামছা ছেড়ে নিয়মিত পড়তো প্যান্ট শার্ট।নিজেকে বাঁচাতে নেশার পার্টনার সাইফুলকেও ফাসাতে চেয়েছিল এই বিকৃতমনা ধর্ষক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি অবশেষে।

এ বিষয়ে সিএমপির বন্দর জোনের ডিসি শাকিলা বলেন, প্রায় ২৪ দিন পরে আমরা এ হত্যাকান্ডের প্রধান এবং একমাত্র আসামীকে ধরতে সক্ষম হই। প্রায় ১০০টি সিসিটিভির ফুটেজ বের করে তদন্তের মাধ্যমে একটি প্যাডেল চালিত রিক্সার সন্ধান পাই অবশেষে প্রায় ৮০টি গ্যারেজ ঘুরে আমরা এ কালপিটকে গ্রেফতার করি। তার দুই বউ থাকা সত্ত্বেও অধিক নারীর প্রতি আসক্তি ছিল এবং সে নিয়মিত মাদকও সেবন করতো।

প্রিয় পাঠক, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, cbnnews04@gmail.com ঠিকানায়। অথবা যুক্ত হতে পারেন chinabanglanews আমাদের ফেসবুক পেজে। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

এই বিভাগের আরও খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আমাদের লাইক পেজ

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় পোস্ট