সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
spot_img
বাড়িStoriesছোট গল্প ‌। রুম নম্বর ১০৭ ।

ছোট গল্প ‌। রুম নম্বর ১০৭ ।

রুম নম্বর ১ ০ ৭
লেখক: মোঃ রাজন ইসলাম
১ম পর্ব-

প্রচন্ড শীতের সকাল, চারপাশে ঘন কালো কুয়াশায় ঢেকে আছে বললেই চলে। দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা সূর্যের আলো দেখা যায়।
প্রতিদিনের মতো স্কুল শেষে ফ্রেড চলে এসেছে বাড়ির পাশের পার্কটিতে। একটি নির্জন কোলাহল বিহীন জায়গায় ঘাসের উপর চুপটি মেরে বসে আছে সাথে আছে তার কয়েকটি বন্ধু মানে কুকুর। একটি কুকুর তার সামনে চার পা লম্বা করে দিয়ে আরামে রোদের মধ্যে ঘুমাচ্ছে। আরেকজন ফ্রেডের কোলে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে । বাকি দুইজন একে অপরের সাথে মারামারি করছে শরীরটা গরম করছে আরকি।

( ফ্রেড শান্তশিষ্ট একটি ভদ্র ছেলে কেউ কথা না বললে কারো সাথে কখনো কথা বলে না, একা একা থাকতেই আর মাঝে মাঝে পশু পাখির সাথে কথা বলতে পছন্দ করে ।
সবাই ফ্রেডকে অস্বাভাবিক বা অসুস্থ বললেও এমিলিয়া{ ফ্রেডের আম্মু} সেটা মানতে নারাজ।

ফ্রেড পড়ালেখায় খুব বেশি ভালো সেটা বলা যাবে না একরকম অমনোযোগী বললেও চলে , সবাই যখন ক্লাসে ম্যাডাম এর লেকচার শুনতে মনোযোগী ফ্রেড তখন জানালা দিয়ে আকাশ দেখতে ব্যস্ত। সে যেন এই ভুবনে থেকেও নেই।
মাঝে মাঝেই এমিলিয়ার কাছে ফ্রেডের জন্য স্কুল থেকে নালিশ পাঠায়
এমিলিয়া : ফ্রেড তুমি কবে বুঝতে পারবে বলতো যে তোমার জন্য আমার কতটা অপমান সহ্য করতে হয়। তোমার সমস্যাটা কি আমাকে বলতে পারো?
ফ্রেড : আচ্ছা মাম্মা ম্যাডাম আমাকে এত বকেন কেন? উনিত ছোট থাকতে আমার থেকেও বাজে স্টুডেন্ট ছিলেন
এমিলিয়া : তোমাকে কে বলেছে এইসব? আর শোনো তুমি প্রতিদিন স্কুল থেকে পার্কে কেন যাও আমাকে বলতে পারবে? তুমি কি ভাবতে পারো তোমার জন্য আমার কতটা দুশ্চিন্তা হয়?
ফ্রেড : আমার বন্ধুদের সাথে আমার কথা বলতে ভালো লাগে মাম্মা
এমিলিয়া : রাস্তার কুকুরগুলো তোমার বন্ধু হয় কিভাবে? অনেক হয়েছে ফ্রেড তুমি যদি আর কখনো এরকম করো তাইলে আমি অনেক কঠোর পদক্ষেপ নেব তোমার জন্য।

ফ্রেড কিছু না বলে সোজা তার বেডরুমে চলে গেল । ব্যাগটা টেবিলের উপর রেখে জানালার পাশে বসে পড়ল আকাশ দেখার জন্য ‌ নিচে থেকে একটা জোরে শব্দ আসলো ” ফ্রেড খাবার রেডি হয়ে গেছে জলদি আসো”
ফ্রেড মনে মনে ভাবলো আচ্ছা ! খাবার কেন খেতে হয় ?
মেঘগুলো তো সারাদিন উড়ে বেড়ায়, গ্রহগুলো অনন্তকাল ধরে ঘুরেই চলছে, ধুমকেতু গুলো আলোর গতিতে ছুটেই চলছে, তাদের কি খাবারের প্রয়োজন হয়? তারা কি খায়? কখন খায়?
এর মধ্যে আবার একটা জোরে শব্দ হলো “ফ্রেড খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে”

অবশেষে ফ্রেড বিরক্তের সাথে জানালার পাশে থেকে উঠে নিচে নামলো । টেবিলে বসে খাবার খাবে এমন সময় দরজা খুলে রবার্ট প্রবেশ করতে করতে বলল আজকে বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা।
ফ্রেড : মাম্মা ইনি কে?
এমেলিয়া : একটু জোরে রাগান্বিত হয়ে উচ্চকণ্ঠে বললো ” ফ্রেড তিনি তোমার বাবা, তুমি সেটা কিভাবে ভুলে যাও বারবার বলোতো? তোমাকে নিয়ে আমি করব টা কি ।
রবার্ট : আরে শান্ত হও
ফ্রেডের দিকে তাকিয়ে বলল পাপা আমার কাছে আসোতো দেখি তুমি কি গিফট চাও ?
ফ্রেড রবার্টের দিকে তাকিয়ে বলল পিরামিড গুলো তৈরি করতে কত মানুষের বলি দিতে হয়েছিল??
এই বলে ফ্রেড সোজা উপরের সিরি বেয়ে উঠে যায়।
আবারো জানালার পাশে বসে আকাশ দেখতে থাকে। ফ্রেডের এমন অদ্ভুত প্রশ্ন শুনে এমেলিয়া এবং রবার্ট কিছুক্ষণের জন্য অবাক হয়ে হতভম্বের মতো একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকলো ।

পরের দিন স্কুল শেষে ফ্রেড আবার চলে যায় পার্কের সেই নির্জন জায়গায়। সাথে তার বন্ধু গুলো ‌। প্রচন্ড শীতের মধ্যে ফ্রেড খালি শরীরের দাঁড়িয়ে তাদের সাথে কথা বলছে। তার শরীরে শীত বা ঠান্ডা বলে যেন কিছুই নেই এরকম একটা ভাব।

আজ একটু বেশি দেরি হয়ে গেছে দেখে এমেলিয়া প্রচন্ড রাগান্বিত হয়ে পার্কে যায় ফ্রেড কে ধরে নিয়ে আসতে। এইরকম শীতে ঘন কুয়াশায় পুরো পার্ক একদম ফাঁকা। আশেপাশে কোন বাচ্চা নেই ‌। আর একটু পরেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে চারদিকে ঘিরে আসবে অন্ধকার। রবার্টদের বাসাটা শহর থেকে বেশ ভিতরের দিকে হওয়ায় এখানে রাতে শেয়াল বা নেড়ি কুকুরের ভয় থাকে।
এমেলিয়া পার্কে ঢুকতেই দেখতে পেল এক কোনায় একটি মোটা গাছের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ফ্রেড, সাথে তার কুকুর বন্ধু গুলোও। এমেলিয়া আস্তে আস্তে তার কাছাকাছি পৌঁছালে দেখতে পেল এক অদ্ভুত কান্ড। ফ্রেড কার সাথে যেন কথা বলছে কিন্তু সেটা অন্য ভাষায় । কি যেন বলছে গাছের দিকে তাকিয়ে কিন্তু এমিলিয়া মোটেও সেটা বুঝতে পারছে না। পেছন থেকে এমিলিয়ার ফ্রেড বলে ডাকতেই ফ্রেডের কথা থেমে গেল। চারপাশে ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে আসছে । ফ্রেড কি যেন একটা শব্দ করতেই সব কুকুরগুলো চারদিকে দৌড়ে জঙ্গলের ভেতর চলে গেল । মনে হল ফ্রেড যেন তাদেরকে হুকুম দিল চলে যাবার জন্য।

এমেলিয়া আর কিছু না বলে সোজা বাড়িতে চলে আসলো ফ্রেড কে নিয়ে। রাস্তায় এমিলিয়ার মাথায় শুধু একটাই কথা আসছিল তাদের ছেলে স্বাভাবিক না।
বাসায় এসেই প্রথমে ফ্রেডকে জিজ্ঞেস করল তুমি গাছের সাথে কি কথা বলছিলে ? আর সেই কুকুরগুলোকে কি বললা যে তারা সবাই একসাথে দৌড়ে চলে গেল?
ফ্রেড একদম নীরব, চুপচাপ তাকিয়ে আছে। অনেকক্ষণ পর কোন প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে এমেলিয়া বললো যাও ফ্রেশ হয়ে নাও তারপর ডিনার টেবিলে আসো।
ফ্রেড দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে তার রুমে চলে গেল।

ইতিমধ্যে রবার্ট আসলে তাকে সব ঘটনা খুলে বলে এমিলিয়া। ডিনার টেবিলে বসে দুজনে আলোচনা করতে করতে সিদ্ধান্ত নেয় একজন ভালো সাইকিয়াট্রিস এর সাথে কথা বলতে হবে ফ্রেডের বিষয়ে। ফ্রেড উপর থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে বলে মাম্মা এই লোকটা কে ?

এইবার এমেলিয়া রাগান্বিত না হয়ে কিছুটা ভয়ের স্বরে বলে ” ফ্রেড তিনি তোমার বাবা তুমি সেটা কেন ভুলে যাও আমাকে বলবে প্লিজ?
ফ্রেড কোন কথা না বলে সোজা এসে টেবিলে বসে পড়ে, খাবার খেতে খেতে রবার্টের দিকে তাকিয়ে বলে ‘ দেবতাদের শাসন আমল কেমন ছিল? ”

এমেলিয়া রবার্ট আবারো হতভম্বের মতো ফ্রেডের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কিছুক্ষণ পর একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে রবার্ট বলে “ফ্রেড ডিনার শেষে আমরা সবাই বের হচ্ছি একজনের সাথে দেখা করব”
ফ্রেড কিছু না বলেই নিজের রুমে চলে যায়। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে কি যেন ভাবছে এমন সময় নিচে থেকে শব্দ আসে “ফ্রেড আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি তাড়াতাড়ি আসো”

সাইকিয়াট্রিসের সাথে রবার্ট আগে থেকেই কথা বলে রেখেছিল। রুমে ঢুকতেই সে বলল গুড ইভিনিং মি: ফ্রেড ।
How are you?
ফ্রেড কিছু না বলে তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো। এমেলিয়া এবং রবার্ট সবকিছু খুলে বলার পর ডক্টর বলল আপনারা কোন চিন্তা করবেন না এরকম রোগী অনেক ঠিক করেছি আমি। আমাকে বরং ফ্রেডের সঙ্গে কথা বলতে দিন।

ডক্টর : ফ্রেড জানো আমিও তোমার মত গাছের সাথে কথা বলতে ভালোবাসি, তুমি কি আমাকে তোমার বন্ধু ভাবতে পারো ? আমি কিন্তু তোমার অনেক ভালো বন্ধু হতে পারি।
ফ্রেড : হাহাহা আপনি আপনার ব্যাচের সব থেকে দুর্বল ছাত্র ছিলেন স্যার, আপনার বাবার জন্য আপনি এই চাকরিটা পেয়ে গেছেন‌ । আচ্ছা স্যার আপনার প্রথম সন্তান মারা গেছিল তখন আপনি কেন কষ্ট পাননি?

এমেলিয়া এবং রবার্ট হা করে ফ্রেডের দিকে তাকিয়ে আছে, দীর্ঘ সাত বছরে এই প্রথম তাকে তারা হাসতে দেখল, ডক্টরের দিকে তাকিয়ে রবার্ট বললো স্যার কিছু মনে করবেন না প্লিজ সে এরকমই অদ্ভুত কথাবার্তা বলে।
ডক্টর অবাক হয়ে ফ্রেডের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তার চোখ গুলো যেন কপালে উঠে গেছে । পরক্ষণেই মাথাটা নিচু করে সেটা কাউকে বুঝতে দিলো না ‌। আসল সত্যিটা সেই একমাত্র জানে। একটু মুচকি হেসে বলল হ্যাঁ “অদ্ভুত কথা তো বটেই” আপনারা বরং এখন যান আমি নেক্সট টাইম মিস্টার রবার্টকে কল দিয়ে জানিয়ে দিব কবে আসতে হবে।

কথাটা শুনে অনেকটাই নিরাশ হলো এমিলিয়া।
এর কিছুদিন পর হঠাৎ একদিন সন্ধ্যা হয়ে আসে কিন্তু ফ্রেড বাসায় ফিরে না। যথারীতি মিসেস ইমিলিয়া বের হয়ে পড়েন ফ্রেডকে খুঁজতে এবং পার্কের গেটে চলে যায়। কিন্তু আজ সে আরও হতভম্ব কারন ফ্রেড সেখানে কোথাও নেই। এমেলিয়া অনেকক্ষণ চিৎকার করে এদিক-সেদিক খোঁজা খুঁজি করেও যখন তাকে পাইনা । সে সরাসরি স্কুলের ম্যাডামের কাছে কল করে এবং জানতে চাই ফ্রেড কখন বের হয়েছে? কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার ম্যাডাম বলে ফ্রেড নামে সে কাউকে চিনেই না। তার ক্লাসে এই নামে কোন ছাত্রই নেই। দুজনের মধ্যে চলে তুমুল কথা কাটাকাটি। এদিকে চারপাশে নেমে আসে কালো অন্ধকার রাত, প্রচন্ড শীতের মধ্যেও তবুও যেন ঘেমে যাচ্ছে এমিলিয়া। সাথে সাথে রবার্ট কে কল করার চেষ্টা করলেও তার নম্বর বন্ধ দেখায়। অবশেষে আর কোন রাস্তা না থাকায় এমিলিয়া বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়, থানায় যেতে হবে এবং সবকিছু বলতে হবে কিন্তু তার আগে ফ্রেডের কাগজ পাতি গুলো লাগবে ( রেজিস্ট্রেশন,ছবি, স্কুল কার্ড, ইত্যাদি) বাসায় ফিরেই এমেলিয়া আরো একটি বড় ধাক্কা খায় । ফ্রেডের নামে তার কাছে কাগজ,ছবি, ডকুমেন্ট যা ছিল তার কোনো কিছুই নেই এখানে । এমনকি তার মোবাইলে থাকা ছবিটাও গায়েব হয়ে গেছে।দেয়ালে টাঙ্গানো ছবিটায় রবার্টের সামনে ফ্রেড মিসিং। ফ্রেডের কোনো অস্তিত্বই নেই। এমেলিয়া আর কিছু ভাবতে না পেরে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় ।

কিছুক্ষণ পর চোখ খুলতেই সে চোখের সামনে রবার্টকে দেখতে পাই কিন্তু এই রবাটকে সে কখনোই দেখেনি।
৮ ফুট লম্বা একটি দানব, চোখগুলো রক্তের মত লাল, মাথা ভর্তি উস্কো খুস্কো বড় বড় চুল, মুখের উপর কতগুলো কাটা দাগ, । এমেলিয়া চোখ খুলতেই রবার্ট এক হাত দিয়ে তার গলা চেপে ধরে বলতে শুরু করে ফ্রেড কোথায়? ফ্রেড কোথায়?
এমেলিয়াকে কিছু বলতে দেওয়ার আগেই রবার্টের একটি আঙ্গুল এসে ঢুকলো এমেলিয়ার পেটে । গরম রক্তে পুরো মেঝে ভেসে গেল, এদিকে রবার্ট বারবার একটি কথায় বলছে ফ্রেড কোথায়? । অনেক কষ্টে মিলিয়া বললো আমি জানিনা। রবার্ট আরেকবার পেটে আঘাত করতে যাবে এমন সময় প্রচন্ড বিকট একটা শব্দে দুজনেই ভোরকে গেল ।

কিছুক্ষণ পর দরজা দিয়ে কেউ একজন ঢুকে পেছন থেকে রবার্টের উপর আক্রমণ করে । পেছন থেকে রবার্টের পিঠে একটি আলোকরশ্মি ঢুকতেই বাতাসের সাথে মিশে যায় রবার্ট।

এমিলিয়া ভালোভাবে তাকিয়ে দেখে সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে সে আর কেউ নয় বরং ফ্রেড । এর কিছুক্ষণ পরেই ফ্রেড দরজা দিয়ে আবার বের হয়ে যায় পেছন থেকে এমিলিয়া ডাকতে চাইলেও সেই শক্তিটুকু সে পায় না। শেষবার চোখের পলক ফেলার আগে জানালা দিয়ে এমিলিয়া দেখতে পাই একটি মস্ত বড় আলো আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে রাতের অন্ধকারে আর ঘন কুয়াশায় কোথায় যেন মিশে গেল।

জ্ঞান ফিরে এমেলিয়া দেখতে পায় ঘরের কোথাও কোন রক্তের তিলে ফোঁটা নেই। তার পেটে হাত দিতেই দেখে সেখানেও কোন ক্ষত নেই , কিন্তু ঘরের সব জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে রয়েছে । ধীরে ধীরে ওঠার চেষ্টা করতেই এমেলিয়া দেখতে পাই বাম পাশে তার হাতের কাছেই একটি চিরকুট ।
সেটার উপরে লেখা ( ফ্রেড )
চলমান……….

২য় পর্ব পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন।
দয়া করে গল্পটি কেউ কপি করলে অবশ্যই ক্রেডিট দিবেন।

প্রিয় পাঠক, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, cbnnews04@gmail.com ঠিকানায়। অথবা যুক্ত হতে পারেন chinabanglanews আমাদের ফেসবুক পেজে। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

এই বিভাগের আরও খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আমাদের লাইক পেজ

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় পোস্ট