কিভাবে বুঝতে পারবেন আপনি লিভার সিরোসিসে ভুগছেন
-
Update Time :
শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১
-
২৫৬
Time View
লিভার সিরোসিস রোগটির কথা শুনলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কারণ এ অসুখটি সারে না। দীর্ঘ দিনের লিভারের কোনও অসুখ থাকলে বা জন্ডিস হয়ে থাকলে কিংবা অতিরিক্ত মদ্যপান করলে এ রোগ হতে পারে। তবে ডায়াবেটিস বা ওবেসিটি রয়েছে যাদের তারাও সতর্ক না হলে এ রোগ থাবা বসাতে পারে।লিভার সিরোসিস একটি মারাত্মক ও অনিরাময়যোগ্য রোগ। এতে যকৃৎ বা লিভারের কোষকলা এমনভাবে ধ্বংস হয়ে যায় যে তা সম্পূর্ণ বিকৃত ও অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে যকৃতের যেসব স্বাভাবিক কাজ আছে যেমন বিপাক ক্রিয়া, পুষ্টি উপাদান সঞ্চয়, ওষুধ ও নানা রাসায়নিকের শোষণ, রক্ত জমাট বাঁধার উপকরণ তৈরি ইত্যাদি কাজ ব্যাহত হয়। দেখা দেয় নানাবিধ সমস্যা। ধীরে ধীরে এ রোগ মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় মানুষকেসময়ে ধরা পড়লে এ রোগটির জটিলতা থেকে অনেকখানিই মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগটি ধরা পড়তেই দেরি হয়ে যায়, তখন আর কিছুই করা সম্ভব হয়ে উঠে না। লিভার সিরোসিস হওয়ার শুরুতেই শরীর কিছু কিছু সঙ্কেত দিতে থাকে। এগুলো কখনওই উপেক্ষা করবেন না।কালশিটে কি? এ প্রসঙ্গে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ফ্যামিলি মেডিসিন ফিজিশিয়ান কোরি ফিশার বলেন, কালশিটে হলো ত্বকের পৃষ্ঠের নিচে অবস্থিত রক্তনালিতে ছোটখাট ইনজুরির প্রতিবিম্ব। এসব রক্তনালি ড্যামেজ হলে অল্প পরিমাণে রক্ত লিক করে, যার ফলে আমরা ত্বকে নীল, কালো বা পার্পল দাগ দেখি- এ দাগকেই কালশিটে বলেশরীরে ঘনঘন কালশিটে পড়ে কি? তা হলে সতর্ক হোন। আমাদের লিভার ভিটামিন কে-এর সাহায্যে একটি প্রোটিন উৎপাদন করে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। লিভার পুরনো ও ক্ষতিগ্রস্ত রক্তের কোষগুলির ভাঙনেও সহায়তা করে। লিভার যদি ক্ষতিগ্রস্ত থাকে তাহলে এটি প্রয়োজন মতো প্রোটিন উৎপাদন করতে পারে না। কাজেই সহজেই কালশিটে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।জন্ডিস খুবই পরিচিত একটি অসুখ। এই অসুখে ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলদে হয়ে যায়। লিভার থেকে নিঃসৃত হওয়া হলুদ-কমলা রঙের পিত্ত বিলিরুবিনের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে জন্ডিস হয়। লিভারে ক্ষত তৈরি হলে লিভার শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। তখনই এ অসুখ হয়।
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply