সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
spot_img
বাড়িআঞ্চলিকদুমকিতে বেরী বাঁধ ভেঙে ১২ টি গ্রাম প্লাবিত, জন দুর্ভোগ!

দুমকিতে বেরী বাঁধ ভেঙে ১২ টি গ্রাম প্লাবিত, জন দুর্ভোগ!

মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ বঙ্গপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষন, উত্তাল নদ-নদীতে জোয়ারে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি আর তীব্র স্রোতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বেরিবাঁধ। এতে জনজীবনে দেখা দিয়েছে নানা দুর্ভোগ।

সরজমিনে (১৭ সেপ্টেম্বর) গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে শাহাবুদ্দীন মাষ্টারের বাড়ির উত্তর পাশে, ৪নং ওয়ার্ডে সেন বাড়ির পশ্চিম পাশে, মজুমদার বাড়ির লঞ্চঘাটের কাছে সহ বিভিন্ন জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিশাল বিশাল খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রোপা আমনের ফসলী জমি, মাছের ঘের তলিয়ে চাষকৃত মাছ বের হয়ে গেছে ও শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের যাতায়াতের বিঘ্ন ঘটছে। এসব স্থানে বিকল্প কোন পথ না থাকায় হাজারও শিক্ষার্থীদের চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও লেবুখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে ও আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে বেরীবাধেঁর একই অবস্থা। আলগী, নলদোয়ানি, হাজীরহাট, লেবুখালী, মৌকরন, কার্তীকপাশা, পাড়- কার্তিক পাশা, আঙ্গারিয়া, বাহেরচর, শ্রীরামপুর, রাজাখালী, সন্তেষদীসহ আন্তত ১০-১২ টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

মো.আমির হোসেন নামে এক মৎস্য চাষী জানান, নিজের পুকুর না থাকায় আমি সরকারি খাস খাল লীজ নিয়ে মাছ চাষ করি। মৌকরন খাস খালের বাধঁ ভেঙে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আমার সব মাছ বের হয়ে গেছে। আমি কীভাবে লীজের টাকা জমা দিব উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।

রাজাখালী গ্রামের সৈয়দ শাহাবউদ্দীন নামে এক কৃষক চায়না বাংলাকে বলেন, এ বছর সার ও ট্রাকটর খরচ আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ধান রোপণে বিলম্ব হয়েছে।  এখন আবার এই দূর্যোগ। বেরী বাঁধ মেরামত করা না হলে ভবিষ্যতে আমাদের ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, অত্র উপজেলায় যেসব মাছ চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তারা যেন ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে আমার দফতরে আবেদন করে। তাহলে মৎস অধিদফতর থেকে কোন অনুদান এলে দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আল ইমরান বলেন, ওয়াপদা’র কর্তৃপক্ষের সাথে আমার কথা অতি দ্রুত ভাঙা বাধঁগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করবেন এ মর্মে আমার সাথে কথা হয়েছে।

সরকারী খাস খাল ইজারা নিয়ে মাছ চাষে বাধঁ ভেঙে মাছ বের হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, এটা তো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মৎস চাষীকে দেখি পরে কোন একটা ব্যবস্থা করা যায় কিনা।

প্রিয় পাঠক, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, cbnnews04@gmail.com ঠিকানায়। অথবা যুক্ত হতে পারেন chinabanglanews আমাদের ফেসবুক পেজে। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

এই বিভাগের আরও খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আমাদের লাইক পেজ

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় পোস্ট