


মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।
নগরের বায়েজিদ থানা পুলিশের অভিযানে চার মানব পাচারকারী আটক।কৌশলে ফাঁদে ফেলে ২তরুনী’কে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তি,অনৈতিক রহৎস জেরে ধরা খেল ৪ যুবক।
বায়েজিদ থানার পূর্ব মিরপাড়া মোহাম্মদ আলীর বাড়ির চতুর্থ তলায় রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে অভিযানে দুই যুবতীকে উদ্ধারের পাশাপাশি চার যুবককে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বায়েজিদ থানার আমিন জুটমিল এলাকার মৃত শামসু মিয়ার ছেলে মো. ইউনুছ (২৬), একই এলাকার মৃত মানিক মজুমদারের ছেলে সুজন কান্তি মজুমদার (৩৫), মো. শামসু মিয়ার ছেলে মো. সাইফুল (৩০) এবং অক্সিজেন ওয়াপদা গেট এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো. রফিকুল (২৮)।
গত ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১.৩০ হতে ১১ সেপ্টম্বর দুপুর ০২.৩০ টা পর্যন্ত, পূর্ব মীরপাড়া, ফয়েজ বেকারীর বাড়ীর সামনে মোহাম্মদ আলীর বাড়ী, ৪র্থ তলা,০১নং রুম। অত্র মামলার বাদী রোজিনা খাতুন (২০) এর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) ও বাদীর আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) অত্র বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন স্টারশীপ ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করে। বাদীর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) ও বাদীর আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) গত ৯সেপ্টেম্বর চাকুরীতে যাওয়ার সয়ম রাত ০৮.০০টায় ফ্যাক্টরীতে যাওয়র সময় অসুস্থ হলে আসামী সুজন কান্তি মজুমদার (৩৫) তাকে রিক্সায় উঠিয়ে দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়। পরের দিন আসামী সুজন কান্তি মজুমদার (৩৫) ও মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০) বাদীর ছোট বোন সুস্থ হয়েছে কিনা দেখার জন্য বাদীর বাসায় আসে এবং বাদীর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) ও আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) এর নাম্বার নিয়ে যায়। আসামী সুজন কান্তি মজুমদার (৩৫) ও মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০) বাদীর বোনের নাম্বারে ফোন করে জনায় তাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কিন্তু বাদীর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) ও বাদীর আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) এতে রাজি হয় নাই। আসামী মোঃ রফিকুল বাদীর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) এর নাম্বারে কল করে কৌশলে বাদীর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) ও বাদীর আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) দ্বয়কে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন পূর্ব মীরপাড়া, ফয়েজ বেকারীর বাড়ীর সামনে মোহাম্মদ আলীর বাড়ী, ৪র্থ তলা, ০১নং রুমে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে আসামীরা ভুক্তভোগীদের দিয়ে পতিতা বৃত্তির কাজ করতে বাধ্য করে।
বাদীর উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অত্র বায়েজিদ থানার এসআই/ খোরশেদ আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩.০০ টায় পূর্ব মীরপাড়া,ফয়েজ বেকারীর বাড়ীর সামনে মোহাম্মদ আলীর বাড়ী, ৪র্থ তলা,০১নং রুম হতে আসামীদেরকে আটক করে তাহাদের হেফাজতে ভিকটিমকেও কে উদ্ধার করে।আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানার মামলা নং-২০/৩৩৮, ধারা- মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৭/১১/১২ রুজু করা হয়েছে।
বাদী রোজিনা খাতুন বলেন,ঘটনার পর থেকে আমরা বাঁচা মরা যেন এক সমান।পুলিশ কর্তৃক গৃহীত যতাযত ব্যাবস্থা না নেওয়া ও পদক্ষেপের নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন।আজ আমরা সারাদিন কোর্টে মেডিকেলে দৌড়ে সরানাপন্না হয়েও কোন দিশা পায়নি। বর্তমানে এখনো অনেক দুশ্চিন্তা খুবই ভয় এবং আতঙ্কে আছি। মেয়েদেরকে বিবাহ দিতে হবে।অভিযোগ করে পদেপদে অনুকুল পরিস্থির স্বীকার।আমদের না বলেই তাদের থানায় নেওয়া হয়েছে। আর ঘটনা যা ঘটেছে তা অন্যদিগে গড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে বায়েজিদ থানার কর্মকর্তা কর্তব্যরত ওসি
ফেরদৌস বলেন,আইনগত ভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বায়েজিদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খুরশেদ আল বলেন,সন্দেহভাজন একজনের সূত্র ধরে অপহৃত দুই যুবতী উদ্ধারসহ চার যুবককে আটক করি।এসময় তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করা হয়েছে।