ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় কর্মরত মো. সাজ্জাদ হোসেন (৪০) নামে এক উপসহকারি পরিদর্শক মৃত্যুবরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের পূর্ব রতনপুর এলাকার আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, রূপগঞ্জ থানায় কর্মরত এএসআই সাজ্জাদ হোসেন গত ২৯ মে রূপগঞ্জ থানায় যোগদান করেন। গত ১৫ আগস্ট তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টার সময় তিনি মারা যান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।
তবে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, এএসআই সাজ্জাদ হোসেন কিডনি রোগসহ আরও কিছু জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। পারিবারিকভাবে এসব রোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম সময় নিউজকে বলেন, গত ১৫ আগস্ট ডিউটিরত অবস্থায় জ্বর অনুভূত হলে তাকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ছুটি পেয়ে বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তার শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর ঢাকার সলিমুল্লাহ মেডিকেলে ভর্তি করানোর পরদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
তিনি বলেন, পুলিশ বিভাগ থেকে যত রকম সুযোগ সুবিধা সে প্রাপ্য, সবই তার পরিবার পাবে। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়িতে মরদেহ পৌঁছানোসহ দাফন-কাফনের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা হবে।এ অবস্থায় জেলার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম সময় নিউজকে বলেন, আর যেন কেউ আক্রান্ত হতে না পারে তার জন্য জেলা পুলিশ লাইন্সসহ সকল থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রগুলো মশা নিধনের জন্য কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকল পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি থানার পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে সচেতন করতে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও প্রচার প্রচারণা চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার।
Leave a Reply