সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
spot_img
বাড়িসারা বাংলাদৌলতপুর দিঘলকান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ।

দৌলতপুর দিঘলকান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ।

দৌলতপুর উপজেলার দিঘলকান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একইসাথে অফিস সহকারি, আয়া, নাইটগার্ড নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে অনিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও অভিভাবকগণ দৌলতপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের দিঘলকান্দীতে গোপনে দিঘলকান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি করার অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয়রা কমিটিতে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া এবং পুর্বের সভাপতির ও প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি দিঘলকান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ প্রায় ।

নতুন কমিটি গঠনের জন্য গোপনে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কাগজ জমা দিয়েছে। বর্তামান সভাপতি জামাল মোল্লা বিগত ২ বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে স্কুলের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করেন। তাকে পুনরায় সভাপতি করা জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ এমরান আলী । এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সভাপতি হিসেবে দায়িত্বকালে সে স্কুলের বিভিন্ন নিয়োগ বাণিজ্যের করেছেন। সে সবের কোন হিসাব নাই। প্রধান শিক্ষকের যোগসূত্রে অর্থ আত্মসাৎ করেন।

দিঘলকান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব থাকার পর তাকে আবারও সভাপতি করার জন্য গোপনে শিক্ষা অফিসে কাগজ জমা দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে দৌলতপুর দিঘলকান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ এমরান আলী বিষয়টি এড়িয়ে যান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর দিঘলকান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জামাল মোল্লা জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালীন স্কুলে অফিস সহকারি একজন, আয়া একজন এবং নাইট গার্ড একজন নিয়োগ দিয়েছিলাম। এর মধ্যে অফিস সহকারী হিসাবে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনি স্কুলের ৭ শতক জমি দিয়েছেন। আয়া ও নাইট গার্ডের কাছ থেকে নিয়োগের খরচ বাবদ ৯০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলাম। দুজনে কাছ থেকে এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। এই এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়োগ প্রক্রিয়ার খরচ হয়েছে বলে তিন দাবি করেন। স্কুল ফান্ডে এই দুইজন (আয়া ও নাইট গার্ড) আরো দুই লক্ষ টাকা জমা দেবে বলে তিনি জানান।

প্রিয় পাঠক, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, cbnnews04@gmail.com ঠিকানায়। অথবা যুক্ত হতে পারেন chinabanglanews আমাদের ফেসবুক পেজে। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

এই বিভাগের আরও খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আমাদের লাইক পেজ

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় পোস্ট