


অহিদুল ইসলাম, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ শরতের বাতাসে ক্ষেতজুড়ে সোনালী রঙের অদ্ভুত রকমের ঢেউ। এই রং আর ঢেউ যে কারও দৃষ্টি কেড়ে নেবে। সোনালী রঙের ক্ষেতটিতে চাষ হওয়া ধানের নাম ‘বি আর-৪৮’। এবারই প্রথম ধান চাষ করেছেন শিক্ষক বিশ্বনাথ দাস। এ ধানের আবাদে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যেরও আশাও দেখছেন দু’চোখে তিনি।
এবিষয়ে বিশ্বনাথ দাস বলেন, আমি সুবরাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে চাকরি করি। চাকরির পাশাপাশি আমার বাড়ির পাশ্ববর্তী অন্য জনের প্রায় সাড়ে ৩বিঘার একটি জমি বর্গা নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া নতুন জাতের “বি আর-৪৮” জাতের বীজ সংগ্রহ করে এই ধান রোপণ করি। এই জাতের ধান অন্যান্য ধান আবাদের মতোই। অতিরিক্ত সার-কীটনাশক এবং সেচের দরকার পড়ে না। অতিরিক্ত যত্ন-পরিচর্যারও প্রয়োজন হয় না। আমার এই সাড়ে তিন বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে সর্বমোট ২৩ থেকে ২৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করছি প্রতি বিঘা জমিতে ১৭ থেকে ১৮মন হারে ধানের ফলন হবে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক ইঞ্চি জমিও ফেলে না রাখার জন্য দেওয়া বক্তব্য শুনে আমি ধান চাষে আগ্রহী হই। এতে জমির মালিককে তার অংশের ধান দেওয়ার পরও প্রতি বিঘাতে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা লাভবান হবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, উন্নত জাতের ধান বি আর-৪৮ এর বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণের পর সার্বক্ষণিকভাবে তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই বর্ষার মৌসুমে উৎপাদিত ধান কৃষি অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।