


অহিদুল ইসলাম, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় এক সন্তানের জননী মুক্তা খাতুন (২১) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের ইটাখোর গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধূর স্বামী রনি হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ মুক্তা খাতুন পাশ্ববর্তী উপজেলা মহাদেবপুরের ঈশ্বর লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাবুদ হোসেনের মেয়ে। ঘটনায় গৃহবধূর মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করেন।
নিহত মুক্তা খাতুনের মা রোকেয়া বেগম বলেন, প্রায় চার বছর আগে মেয়ে মুক্তাকে ইটাখোর গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে রনির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিয়ে সময় ও পরে দু’দফায় জামাই রনিকে এক লাখ টাকা যৌতুক দেন। এরপরও বিভিন্ন সময় মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিল জামাই ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে মুক্তাকে রোববার কয়েকদফা নির্যাতন করা হয়। এসব নির্যাতন সইতে না পেরে মেয়ে মুক্তা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে মুক্তা খাতুনের স্বামী রনি হোসেন ও শাশুড়ি সাজেদা বেগমের বিরুদ্ধে রোরবার রাতে মান্দা থানায় মামলা করা হয়েছে।
এবিষয়ে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর রহমান বলেন, গৃহবধূ মুক্তা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে জামাই ও বেয়ানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি রনিকে গ্রেপ্তার করে সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।