মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, দুমকি সংবাদদাতাঃ তীব্র তাপদাহে পটুয়াখালীর দুমকিতে বেড়েছে তালের শাঁসের চাহিদা। গতবারের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি হলেও সে দিকে তাকাচ্ছেন না ক্লান্ত ও পরিশ্রমী মানুষগুলো। শরীরে পুষ্টির চাহিদা আর গরমের ক্লান্তি মেটাতে তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন সকল বয়সের লোকজন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, রাস্তাঘাট ঘুরে দেখা গেছে ব্যবসায়ীরা গ্রামাঞ্চল থেকে কাঁচা তাল সংগ্রহ করে হাটে-বাজারের সড়কের পাশে রেখে ধারালো দা দিয়ে কেটে বিক্রি করতে। আর লাইন ধরে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ কাদি হিসেবে কিনে বাড়িতে প্রিয়জনদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার তালের শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি। এরপরও মৌসুমি ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহের কমতি নেই তাদের। তালের চাহিদা থাকায় বিচি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। বড় তিন বিচি তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। আবার ছোট তালের বিচির শাঁস গড়ে ১০ টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
আজিজ আহম্মেদ কলেজের ইংরেজি বিভাগের লেকচারার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত লোকজনের প্রশান্তি পেতে তালের রসালো বিচির জুরি মেলা ভার। ক্যামিকেল মুক্ত হওয়ায় বর্তমানে তালের শাঁসের কদর বেশ বেড়েছে। লোকজন পাকা তাল এখন আর আগের মত খেতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, বহুমুখী উপকারী ও বজ্রনিরোধী এ গাছটি দিন দিন বিলুপ্তির পথে।এ গাছ রোপনের জন্য সকলকে উৎসাহিত করা উচিৎ।
খলিল মিরা নামে এক ক্রেতা বলেন, বাসায় মেহমান আছে। তাদের জন্য ১০ টা কিনলাম ১০০ টাকা দিয়ে।
বোর্ড অফিস বাজারের মৌসুমি ফল বিক্রেতা মো. শাহ আলম মৃধা বলেন, কন্ট্রাক্টে গাছ প্রতি ২০০-২৫০ টাকা করে গ্রাওমগঞ্জ থেকে তাল সংগ্রহ করি। দৈনিক আমার তাল বিক্রি করে গড়ে ১ হাজার টাকা আয় হয়৷
থানা ব্রিজ এলাকায় তালের শাঁস বিক্রতা মঃ খলিল শিকদার বলেন, বেচা-বিক্রি যাই হোক মানুষ তালের শাঁস খেয়ে পিপাসা মেটায় এতেই আমার আনন্দ। তালের শাঁস পরিমাণ মত খেতে হয়। নইলে পেটে ব্যাথা হয়।
উল্লেখ্য, তালে রয়েছে ভিটামিন এ,বি ও সি,জিংক পটাশিয়াম,আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।
Leave a Reply