মানুষের মধ্যে এত বেশি অপরাধ প্রবণতা যে এখানে কাজ করা আর গহিন বালুচরে কাজ করা একই কথা। কিছু অপরাধ হলে অনেকে সেখান থেকে সুযোগ খুঁজে। স্বার্থ যখন রক্ষা হয় না তখন কলম থেকে ২ লাইন বের হয়ে আসে প্রশাসন কি করছে।
এতো এতো বালি উত্তোলন, জমি দখল এর তথ্য আসে তার পাশাপাশি রয়েছে অফিসের রেগুলার কাজ, মুজিব বর্ষের ঘর এর কাজ, ভূমিহীন বাছাই, সিডিএসপি কর্তৃক বন্দোবস্ত প্রদান, মামলার তদন্ত আরও কতো কি?
প্রশাসন বলতে সমগ্র প্রশাসন ব্যবস্থাকে বুঝায়। এখানে একটি স্কুল যে চালায় তারও একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা যে রক্ষা করে তার জন্য বিশেষ বাহিনী রয়েছে। আসলে দায় টা কার সেটা আমরা লেখায় স্পষ্ট করি না।
দায় সকল মানুষের। যারা ভূমি দখল করে, অন্যায় কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সমাজ ব্যবস্থা, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষিত সমাজ সকলের দায় রয়েছে। সব কিছুর আঙ্গুল প্রশাসন এর দিকে তোলা ঠিক নয়।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সর্বপরি সকলের সহযোগিতা ছাড়া কোন কাজ করাই সম্ভব না।
সাধুবাদ জানাই কিছু সাংবাদিক বা তথ্য দাতাদের। আপনাদের লেখনি, তথ্য আমাদের কিছু অন্যায় প্রতিহত করতে সাহায্য করে। আপনাদের প্রতি অনুরোধ প্রশাসন শব্দ জেনারেলাইজ করবেন না।
এত কিছু কথা শেষে মুল কথায় আসি। আজ মেঘনা লেক এ অভিযান চালিয়ে ২ টি বালির মেশিন ভাঙা হয় পাশাপাশি মেঘনা লেক এ যারা জাল দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে সেই জাল অপসারণ করা হয়।
লেখকঃ
মোঃ আরিফুর রহমান,সহকারী কমিশনার ভূমি,সুবর্ণচর,নোয়াখালী।
Leave a Reply